প্রকাশিত: Mon, Jan 30, 2023 1:21 PM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 5:00 AM

বাংলাদেশে ডলার সংকটের বড় কারণ বৈষম্যমূলক ডলার নীতি

গোলাম মোর্তোজা: যারা দেশে থেকে ডলার আয় করে রিজার্ভ সমৃদ্ধ করছেন তাদের সঙ্গে খুবই অন্যায় করছে বাংলাদেশ ব্যাংক-সরকার। ফ্রিল্যান্সার ও ফেসবুক, ইউটিউব থেকে যারা ডলার আয় করছেন, তাদের ডলারের বিনিময় মূল্য দেওয়া হচ্ছে ১০২ টাকা। একই ঘটনা ঘটছে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রেও। ফ্রিল্যান্সারদের ৪ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েও দেওয়া হচ্ছে না। প্রণোদনা পেতে সমস্যায় পড়ছেন মেরিন ইঞ্জিনিয়াররাও। আর ফেসবুক, ইউটিউব থেকে যারা ডলার আনছেন, তারা তো প্রণোদনার হিসেবেই নেই। অথচ ফ্রিল্যান্সার, ফেসবুক, ইউটিউব থেকে আয়কারী ও মেরিন ইঞ্জিনিয়াররা ব্যাংকিং চ্যানেলে বছরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার দেশে আনছেন। প্রবাসীদের জন্যে ডলার রেট ১০৬ বা ১০৭ টাকা, সঙ্গে প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ।অন্যদের জন্যে ডলার রেট ১০২ টাকা, কোনো প্রণোদনা নেই। রপ্তানিকারকরাও পাচ্ছেন ১০২ টাকা, সঙ্গে প্রণোদনা।

ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে ডলার রেট ১১২-১১৪ টাকা। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠিয়ে প্রতি ডলারে বঞ্চিত হচ্ছেন ৪-৫ টাকা, অন্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতি ডলারে ১০-১২ টাকা। চিন্তা করেন, কী ভয়ঙ্কর বৈষম্যমূলক ডলার নীতি। সবাই আয় করছেন ডলার, অথচ রেট একেক জনের জন্যে একেক রকম।বঞ্চিত করা হচ্ছে সবাইকে। যার হুন্ডি বা অন্য কোনো সুযোগ আছে, তিনি তাহলে কেন ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠাতে আগ্রহী হবেন? বাংলাদেশে ডলার সংকটের একটা বড় কারণ এই বৈষম্যমূলক ডলার নীতি। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে