রবিউল আলম : নামের সঙ্গে মিল থাকায় কিছুটা হিংসে হচ্ছে। মিডিয়া আমাদের দুই আলমকে ইতিহাসের অংশ করে নিয়েছে। হিরো আলমের মতো আলোচিত সংস্কৃতির সর্বনাশা হতে পারিনি। হিরো আলম এখন বাংলাদেশের কাঁচা বাদাম, তাকে নিয়ে আলোচনা না করলে, না লিখলে আপনার লেখার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই! পুলিশের সাবেক আইজি শহিদুল হক এমনই এক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন, টিভি অনুষ্ঠানে। উপস্থাপক হিরো আলম সম্পর্কে কিছু বলার অনুরোধ করলে শহিদুল হক অপারগতা প্রকাশ করলে, উপস্থাপক ২০ হাজার ভোটের কথা মনে করিয়ে দেন। লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার হিরো আলমের। জাতীয় সংসদের দুইটি আসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, কোনো বুদ্ধিজীবীর পক্ষে সম্ভব হয় না। 

দিনের ভোট, রাতেরÑ অপবাদ থেকে রক্ষা করেছে। সম্মান করতেই হবে। ২০ হাজার ভোটারকে আমরা অসম্মান করতে পারি না। হিরোর দাবি, স্যার বলতে হবে বলেই নাকি তাকে ফেল করানো হয়েছে। একতারায় টিপ দিয়ে নাকি তার খালা নৌকা দেখেছেন। আদালতের মাধ্যমে স্যার বলাতে চান। ইতোমধ্যে  মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, ২০ হাজার ভোটে খুশি হতে পারেননি। মামলার রায় ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে হতে পারে। জেনেশুনেই আলোচনায় থাকতে চান। জাতীয় সংসদকে হিরো আলম বানাতে চান যারা, তারা বসে নেই। গণতন্ত্রের জনরায় অস্বীকার করা যায় না।  

হিরো আলমের চেয়েও অনেক নিকৃষ্ট লোক আমাদের জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলো, যারা জাতি পিতাকে হত্যা করেছে,রশিদ-ফারুকদের চাইতে উৎকৃষ্ট। ড. ইউনূস, রেজা কিবরিয়া, ভিপি নূরের মতো শিক্ষিত ধ্বংসকারী বিদেশি দালাল হতে পারবেন না। সংসদের জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে, বগুড়ার জনগণ আপনাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছে , নাকি বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল? রবিউল আলম বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আছেন বলেই বই মেলায় মিডিয়ার চোখ এড়াতে পারেননি।

 মিডিয়া ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশে হিরো আলমরা সুরের  সম্রাট তানসেনের নামের  যবনিকা কীভাবে টানবে? বগুড়ার জনগণের প্রকৃতরূপ না দেখে। আমি মনে করি আপনার চাওয়া ও পাওয়ার মাঝে গণতন্ত্রের রূপ আবিষ্কার হয়েছে। বগুড়ায় সাঈদীর জন্য  চাঁদ দেখা যায়, হিরো আলমকেও দেখায়। ২০ হাজার হিরো আলম এখন বগুড়ার কাঁচা বাদাম। হায়রে গণতন্ত্র, তোর জন্য আবার তত্ত্বাবধায়ক। গণতন্ত্রের নাগরিক অধিকার নিয়ে যা হয়। লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি