
প্রকাশিত: Sun, Feb 5, 2023 3:43 PM আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 12:57 AM
স্বনামধন্য গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণ দিবস, তিনি দশ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন
আশিক নূরী : [১] লতা মঙ্গেশকর ছিলেন ভারতের একজন স্বনামধন্য গায়িকা। তিনি এক হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন এবং তাঁর গাওয়া মোট গানের সংখ্যা দশ হাজারেরও বেশি। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই। [২] লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ইন্দোর রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন- একজন মারাঠি, কোঙ্কিণী সঙ্গীতজ্ঞ ও মঞ্চ অভিনেতা এবং তাঁর মাতা সেবন্তী ছিলেন কজন গুজরাতি নারী। [৩] লতা মঙ্গেশকর ৫ বছর বয়সে বাবার পরিচালিত গীতি-নাট্যে অভিনয় করেন।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাঁর গাওয়া মারাঠি গানের রেকর্ড হয়, কিন্তু সে গান সিনেমা থেকে বাদ যায়। হিন্দি চলচ্চিত্র ‘আপ কি সেবা মে’ প্রথম হিন্দি গান গেয়েছেন তিনি। তারপর ১৯৪৮এ প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায় এর ‘শহিদ’ ছবিতে তিনি সুযোগ পান এবং মজবুর সিনেমায় ‘দিল মেরা তোড়া’ গানে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেন। [৪] লতা মঙ্গেশকরকে ১৯৮৯ সালে ভারত সরকার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে। তাঁর অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়। ২০০৭ সালে ফ্রান্স সরকার তাকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা লেজিওঁ দনরের অফিসার খেতাবে ভূষিত করে।
[৫] লতা মঙ্গেশকর ৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৫টি বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার, ৪টি শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ২টি বিশেষ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। [৬] লতা মঙ্গেশকরের উল্লেখযোগ্য বাংলা গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমের’, ‘প্রেম একবারই এসেছিল’, ‘রঙ্গিলা বাঁশিতে কে ডাকে’, ‘না যেও না রজনী এখনও’, ‘ওগো আর কিছু তো নাই’, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে’, ‘একবার বিদায় দে মা’, ‘সাত ভাই চম্পা’ ও আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব ইত্যাদি। তিনি ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ে ৯২ বছর বয়সে মারা যান।
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
