প্রকাশিত: Mon, Feb 13, 2023 7:54 AM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 1:38 PM

‘আমরা মানি বা না মানি’Ñ দুর্ভিক্ষ চলছে আওয়াজ দিয়েই!

মনজুরুল হক : ‘আমরা মানি বা না মানি’Ñ দুর্ভিক্ষ চলছে। নীরব নয়, আওয়াজ দিয়েই। বড়- বড় শহরের গরিবরা ৭০ টাকার আটা, ১২ টাকার ডিম, ৬০০ টাকার জাটকা, ২২০ টাকার ব্রয়লার, ১৫০ টাকার মসুর ডাল, ২২০ টাকার তেল, ৩০ টাকার লন্ড্রি সাবান, মাসে ১৫০০ টাকার কারেন্ট বিল, ১৮০০/২০০০ টাকার সিলিন্ডার গ্যাস কেনার জন্য তাদের দিনমজুরি, রিক্সাভাড়া, এবং অন্যান্য কাজের মজুরি বাড়িয়ে নিয়েছে। অর্থাৎ মরছে না। মধ্যবিত্তরা এইসব উচ্চ দামের পণ্য কেনার জন্য দু’নম্বরি করছে। আল্লাহ-ঈশ্বর-ভগবান-গড হাজির-নাজির দুনম্বরি করছে। অর্থাৎ তারাও মরছে না। ধনীরা এসব গায়ে মাখে না। তাঁরা ইনফ্লাশন বানায়, ইনফ্লাশন ভাঙে, ইনফ্লাশনে ফূর্তি করে। যত বেশি ইনফ্লাশন তত বেশি তাদের প্রফিট। অর্থাৎ এদের সামান্যতম সমস্যা নেই। তাঁর মানে কি দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে না? চারিদিকে দুধের নহর বয়ে যাচ্ছে? সবাই সুখে- শান্তিতে জোড়ায় জোড়ায় প্রমোদ বিহার করে বেড়াচ্ছে? না। মানুষ ভেবে ভেবে কূল- কিনারা না পেয়ে এখন বিশ্বাস করে এসব আসমানী বালা। মানুষের কী সাধ্য এর থেকে পরিত্রাণ পায়? 

সাধারণ মানুষের একেবারে পার্টিজান সাপোর্টার, হুজুরের মুরিদ, তওহিদী খেতাব পাওয়া বে-বোধ ছাড়া বাকি সকলেই এখন আর কোনো দলের ওপর ভরসা করে না। তারা নিজের চোখে না দেখলেও জানে, দেশজুড়ে সীমাহীন লুটপাটের সবটা সরকারি দল খায় না। বারোআনা, আট-আনা, ছ’আনা, চার আনা, দু’আনা, এক আনা করে সিরিয়াল ধরে দলের ওজন আর গুরুত্ব অনুযায়ী পায়। মানুষ বেঈমানি করতে পারে, ফিতা কাটার পর দিনই ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে, ট্রেনের কামরায় গরু বসে থাকতে পারে। কিন্তু টাকা এবং কাইন্ড কখনো বেঈমানি করে না। আর বেঈমানি করে না বলেই কোনো রাজনৈতিক দল বিকল্প দেখে না। খুঁজেও দেখে না। লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট