প্রকাশিত: Tue, Feb 14, 2023 4:43 PM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 5:34 AM

আত্মজীবনী মানে নিজের প্রাইভেসি ব্রেক করা না

অর্জয়িতা রিয়া : আত্মজীবনী মানে নিজের প্রাইভেসি ব্রেক করা না। এমন নিয়ম নাই। যে যে যার যার প্রাইভেসির জায়গা থেকে যতটুকু প্রকাশ করার বা যতটুকু ঢাকার ঢাইকাই সত্য বা নিজের গল্প বলবেন। সত্য যদি বলতেও হয়, তার জন্য সব বলতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা লেখকের নাই। আমি যদি ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে লজ্জা বোধ করি বলার বা লেখার ক্ষেত্রে, তা বাদ দিয়া বললেও সেইটা সত্যই থাকবে। কিন্তু আত্মজীবনীতে সত্য বলা বাধ্যতামূলক না। যতটা বাধ্যতামূলক হইলে অন্যেরা কে কার সঙ্গে শুইছে তা বলা লাগে। এইটাও ব্যক্তির প্রাইভেসির ধারণা, ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা ও স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। অন্যের প্রাইভেসি লঙ্ঘন খারাপ অবশ্যই।

তবে নারীবাদ করা মানুষদের ক্ষেত্রে বয়ফ্রেন্ডদের ন্যুড প্রকাশ করার নারীবাদ, ভিত্তিহীন ‘মিটু’ করার নারীবাদ এবং কে কার সঙ্গে শুইছে তা প্রকাশ করতে চাওয়ার নারীবাদ একটু বেশি খারাপ। কথা হচ্ছে, মানুষ তো ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-সহই মানুষ। মিথ্যা বলা, অন্যদের বিপদে ফেলা এগুলো করেই। কইরা আবার নিজের বেলায় ষোলো আনা ধইরা রাখে। সেই জায়গা থেকেই কেউ চাইতে পারে বইয়ে অন্যের প্রাইভেসি রক্ষা না করতে। যেমন ধরেন কেউ লেখল ওই নায়িকা ওই ডিরেক্টরের সঙ্গে লাগাইছে। লেখকরা এর ঊর্ধ্বে না। প্রাইভেসি রক্ষার সুযোগ ছিল না যদি কেউ বলে, সেইটা দুর্বল অজুহাত। লেখকরা এই ক্ষেত্রে বাধ্য না, ধরা খাইয়েন না তাদের কথার মাঝখানে। ফেসবুক থেকে