প্রকাশিত: Thu, Feb 23, 2023 4:10 PM আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 1:23 AM
মুড়ির টিনের তরুণরাই আমাদের সংগীতের ভবিষ্যৎ
রুমি আহমেদ : সেদিন কোক স্টুডিওর মুড়ির টিন গানটা শুনতে শুনতে আবিষ্কার করলাম। হায় হায় এতো ব্লু গ্রাস। আমেরিকার এপলাসিয়ন অঞ্চলের ট্র্যাডিশনাল ফোক সং হচ্ছে ব্লু গ্রাস। জানি না কার মাথায় এই অসাধারণ ক্রিয়েটিভ আইডিয়েটা এসেছিলো যে চিটাগংয়ের আঞ্চলিক ভাষার একটা গান ব্লু গ্রাস টিউনে গাওয়া যেতে পারে। ননসেন্স রিভার ব্যান্ডের সিটিং অন দ্য টপ অফ দা ওয়ার্ল্ড অথবা ডেল ম্যাককুরির রেইন অ্যান্ড স্নো ব্লু গ্রাস গুলো শুনুন আর মুড়ির টিন এর চিটাগং পার্টটা শুনুন-দেখবেন মুড়ির টিন গান তা কতটা অথেন্টিক ব্লু গ্রাস। এই নতুন জেনারেশনের শিল্পীরা যারা মুড়ির টিন গানটা গেলো, ওঁরা আমার ধারণা আমাদের দেশে সঙ্গীত চর্চায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসছে।
সংগীত শিল্পী বলতে বুঝতাম তা হলো গুরু গম্ভীর কিছু মানুষ সারাদিন ধরে আজীবন গলা সাধেন এবং আর মাঝে মাঝে একটা বসে গম্ভীর মুখে কিছু গান গাবেন। ওই গান গুলো লিখবে একজন গীতিকার এবং সুর করবেন অন্য একজন সুরকার। অনেক সময় চতুর্থ একজন মিউজিক পরিচালনা করবেন। পশ্চিমা শিল্পীদের কিন্তু এতো লাক্সারি নাই। ওরা সাধারণত নিজেরাই নিজেদের গান লিখে ও সুর করে এবং গায়। যেমন মাইকেল জ্যাকসন বা ম্যাডোনার প্রায় সব বিখ্যাত গানই ওদের নিজেরই লিখা ও সুর করা। ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও তাই। কুইন ব্যান্ড, ডুরান ডুরান বা লেড জ্যাপেলিন ইত্যাদি এরা নিজেদের গান গুলো নিজেরাই লিখতো ও সুর করতো এখন ও করে। এবং ওদের বসে বসে গম্ভীর হয়ে গান গাইবার কোনো স্কোপ নেই।
ওদের কে প্রচণ্ড কষ্টসাধ্য ফিজিক্যাল পারফর্মেন্স করতে হয়। মাসের পর মাস রিহার্সেল করতে হয়।
আকাশে দড়ি ধরে ঝুলতে হয়, একশো ফুট উঁচু প্ল্যাটফর্ম থেকে লাফ দিতে হয়। এই তো সেদিন সুপারবোল হাফটাইম শোতে রিহানা পারফর্ম করলেন। ছয় মাসের প্রেগন্যান্ট রিহানা আকাশ থেকে ঝোলা ৪০ ফুট উঁচু প্ল্যাটফর্ম এর উপর দাঁড়িয়ে পারফর্ম করলেন, তাও রিহানার বদনাম হলো সে নাকি নিজেকে সেইফ রেখে পারফর্ম করেছে। তবে বাংলাদশের নতুন জেনারেশনের শিল্পীরাও কিন্তু পশ্চিমা ধাঁচের সব্যসাচী সংগীত পারফর্মার। কোক স্টুডিওর মুড়ির টিন গানটার কথাই ধরুন। যারা গানটা গেয়েছে, গানের সঙ্গে নেচেছে, তারাই কিন্তু গান গুলো লিখেছে। ওরাই দলবেধে ব্লু গ্রাস ধাঁচে মিউজিক টা বানিয়েছে।
র্যাপাররা নিজেরাই গানগুলো লিখেছে ও সুর লাগিয়েছে। আবার যে আইডি এটা ব্লু গ্রাসের সঙ্গে র্যাপের যে ফিউশন করা যায় এইটাও একটা ডিসরাপ্টিভ ও খুবই সিম্বলিক আইডিয়া। র্যাপ হচ্ছে আমেরিজার ইনার সিটির মূলত কালো তরুণদের গান। ব্লু গ্রাস ঠিক উলটো। ব্লু গ্রাস আমেরিকার রুরাল দরিদ্র সাদা অধ্যুষিত এপালেশিয়ান ট্রাম্প কন্ট্রির গান। মুড়ির টিন আমার মতে বাংলা সংগীতের একটা মাইলস্টোন। এই কোয়ালিটির আরও কিছু গান বাংলাদশের সংগীতকে বিশ্ব মানে পৌঁছিয়ে দেবে। মুড়ির টিনের তরুণরাই আমাদের সংগীতের ভবিষ্যৎ। লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
