
প্রকাশিত: Fri, Feb 24, 2023 2:15 PM আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 12:27 AM
গবেষণার অর্থ খরচ করতে না পারা বিস্ময়কর
মঞ্জুরে খোদা টরিক : গবেষণায় এক টাকাও ব্যয় করেনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটÑশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই)। বিশ্বের বিভিন্ন বিকাশমান ও বিলুপ্তপ্রায় ভাষার ওপর গবেষণার জন্য ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আমাই। ইনস্টিটিউটটির আইনেও বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয় গবেষণা খাতকে। আমাই আইনে প্রতিষ্ঠানটির যে ২৩টি মৌলিক দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে ১০টির বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গবেষণাসংশ্লিষ্ট। তবে প্রতিষ্ঠার এক যুগ পার করলেও প্রতিষ্ঠার সেই লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান আমাইয়ের। সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশেষায়িত এ ইনস্টিটিউট গবেষণা খাতে একটি টাকাও ব্যয় করেনি।
২১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকালে আমার একটা লেখায় বলেছি, ভাষা নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই নানা মাত্রিক গবেষণা ও জরিপ হয় কিন্তু আমাদের দেশে এ বিষয়ে তেমন কাজ হয়নি, হয় না। একই দিনে বণিকবার্তায় এ সংবাদটা প্রকাশিত হলো যে, প্রতিষ্ঠার এক যুগেও এই আমাই গবেষণা খাতে কোনো খরচ করতে পারেনি।
একদিকে আমাদের দেশে গবেষণা খাতে বরাদ্দ কম, আবার সরকার যা বরাদ্দ দেয় তা এঁরা খরচ করতে পারে না। তার মানে কী বাংলাদেশে কোনো গবেষক নেই? নাকি কর্মকর্তারা কোনো কোনো গবেষণা প্রকল্প তৈরি করতে পারেন না? কোনটা? আমাই-এর প্রধান কাজ বিশ্বের যে সব অঞ্চলের ও ক্ষুদ্র-জাতিগোষ্ঠীর ভাষা বিলুপ্তির পথে ও হুমকির মুখে সেগুলো নিয়ে গবেষণা করা। বিশ্বের কথা বাদ দিলাম, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর যে ভাষাগুলো আছে সেগুলো নিয়ে কি কোনো জরিপ ও গবেষণা হয়েছে? প্রাথমিক পর্যায়ে আদিবাসী-উপজাতিদের নিজস্ব ভাষায় কীভাবে লেখাপড়া করতে পারে সে বিষয়ে কি আজ পর্যন্ত কোনো গবেষণা কাজ হয়েছে? সে ভাষাও তো বিলুপ্তির পথে, সংকটের মুখে। তারপরও আমরা গবেষণার অর্থ খরচ করতে পারি না। বড়ই বিস্ময়ের বিষয়। লেখক ও গবেষক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
