আশিক নূরী : [১] অভিজিৎ রায় একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী, ব্লগার ও লেখক। তিনি বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সরকারের সেন্সরশিপ ও ব্লগারদের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদের সমন্বয়কারী ছিলেন। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী হলেও, তার স্ব-প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট ‘মুক্তমনা’য় লেখালেখির জন্য তিনি অধিক পরিচিত লাভ করেছিলেন। [২] অভিজিৎ রায় ১৯৭১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারতের আসাম রাজ্যের শিবনগরের নাজিরা ম্যাটার্নিটি সেন্টারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অজয় রায় একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। অভিজিৎ রায় ঢাকার উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ সম্পন্ন করেন এবং তিনি সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। 

[৩] অভিজিৎ রায় পেশায় একজন প্রকৌশলী ছিলেন। তবে তিনি নিয়মিত ব্লগ ও বিজ্ঞান-বিষয়ক লেখালেখি করতেন। তিনি মোট ১০টি বই প্রকাশ করেছেন। অভিজিৎ রায় ইন্টারনেট, ম্যাগাজিন এবং দৈনিক পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। তাঁর লেখার বিষয় ছিলো আধুনিক বিজ্ঞান, নাস্তিকতা, সমকামিতা এবং দর্শন। তাঁর প্রকাশিত বইগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী (২০০৫)’, ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে (২০০৭)’, ‘অবিশ্বাসের দর্শন (২০১১)’, ‘বিশ্বাস ও বিজ্ঞান (২০১২)’, ও ‘ভালবাসা কারে কয় (২০১২)’। [৪] ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে আহত করে।