
প্রকাশিত: Sun, Feb 26, 2023 5:34 PM আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 6:47 PM
লালন ফকিরের গানের ভাবসম্পদ এবং ফরিদা পারভীন
কুলদা রায় : গেলো বছর নিউইয়র্কে লালন উৎসব হয়েছিল। সারাদিনব্যাপী এই উৎসবে অসংখ্য বক্তৃতা, সেমিনার, গান হয়েছিল। নাচের অনুষ্ঠানও হয়েছিল। আয়োজকরা পাঞ্জাবী ও মালা বিতরণও করেছিল দেখেছি। জ্যামাইকা এভিনিউস্থ ভেন্যুটি বেশ সেজে উঠেছিল। উৎসবের বেশ কিছুদিন আগে থেকে লালন উৎসবের প্রচার চালানো হয়েছিল ফেসবুক ও স্থানীয় পত্রিকায়। ফরিদা পারভীনকে এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হিসেবে বলা হয়েছিল। তখন সবে শীত নামতে শুরু করেছে। পাতা ঝরছে। অনুষ্ঠানসূচিতে লেখা ছিল শেষ শিল্পী ফরিদা পারভীন। রাত পৌনে দশটার সময়ে ফরিদা পারভীন যন্ত্রীদের নিয়ে মঞ্চে উঠলেন। স্রোতাদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ মিলনায়য়ন। বংশীবাদক আবদুল হাকীম দশ মিনিট যাবৎ বাঁশিতে একটু ধুন বাজালেন। অসামান্য সুরমূর্ছনায় পুরো মিলনায়তন জুড়ে পিনপতন নীরবতা নেমে এলো।
দর্শকগণ সম্মোহিত হয়ে প্রস্তুত হলেন ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে লালনকে শুনতে। ফরিদা পারভীন মাত্র পাঁচ মিনিটে সহজ সুন্দর করে লালন ফকিরের গানের ভাবসম্পদ বলে গেলেন। সারাদিন ব্যাপী ৫০ জন বক্তা যা যা বলেছিলেন তাদের সব কথাই তার পাঁচ মিনিটের কথার কাছে ম্লান হয়ে গেলো। এসব বক্তার ছিল না কোনো প্রস্তুতি। লালন বিষয়ে এরা কেউ গবেষক নন। সারাদিন এদের বলিয়ে দর্শক স্রোতাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হয়েছিল। ফরিদা পারভীন লালনের গান ধরলেন। তার অপার্থিব সুরে জ্যামাইকা এভেনিউ ভেসে গেলো শুভ্র সুন্দরে। স্রোতাদের তৃষ্ণা বেড়ে গেলো। মাত্র তিনটি গান গাওয়ার পরে ফরিদা পারভীনকে থামিয়ে দেওয়া হলো। সময় নেই। গান থামিয়ে মঞ্চে একে একে ডেকে নেওয়া হলো আয়োজক ও অর্থদাতাদের। মুহূর্তেই এই অপার্থিব সুরের আয়োজনটি পরিণত হলো মাছের বাজারে।
স্রোতারা বঞ্চিত হলেন, হলেন আশাহত। মনে হলো আয়োজকরা আসলে লালনকে নয়, তার নামটি ব্যবহার করে কিছু বাণিজ্য করতে চেয়েছেন মাত্র। এদের কোনো সাংগীতিক, সাংস্কৃতিক, দার্শনিক রুচিবোধ নেই। থাকলে ফরিদা পারভীনের জন্য অন্তত দুই ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতেন। লালন বিশেষজ্ঞ দু’একজনকে আনতে পারতেন। উৎসবের আড়ালে দেখনদারিই ছিল লক্ষ্য। মে মাসে এই আয়োজকরাই নিউইয়র্কে রবীন্দ্র উৎসব করবে। এদের কমিটির তালিকায় এমন কয়েকজনকে দেখা গেলো যে বা যারা রবীন্দ্রবিদ্বেষী। জামায়াতের অনুষ্ঠানের বক্তা। আশঙ্কা করছি রবীন্দ্র উৎসবকেও এরা তামাশায় পরিণত করবে। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
