
প্রকাশিত: Sun, Feb 26, 2023 5:38 PM আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 8:42 PM
অনন্ত প্রকৃতি এবং সভ্যদের বিচার
ইকবাল আনোয়ার : [১] প্রকৃতির প্রাণ আছে কি না? প্রাণের সংজ্ঞাইবা কি? সর্বপ্রাণবাদ একদিকে অপরদিকে জীব ও জড়বাদ। প্রকৃতি নিষ্ঠুর না দয়ালু। নাকি নিষ্ঠুর দয়ালু ডুয়েলিটি? সব কিছু ঘিরে থাকে প্রশ্ন। বিশ্বাসীদের বিশ্বাসে নিঃস্বাস। তাদের টলাতে কষ্ট। তারা ‘সাব্যস্থ’। হায়না শিখেনি গলা রোধ করে কম কষ্টে বধ করে খেতে। তবে তাকে তো বাঁচতে হবে। বাঁচার প্রয়োজনে তারা দলবেধে জীবন্ত মহিষ খায়। মহিষ যন্ত্রণায় জগৎ চেরা কান্না কাঁদে। দূরে মহিষের মা কাঁদে, বাচ্চা কাঁদে। হায়নার প্রয়োজন, মৌলিক প্রয়োজন -বাঁচা। সে নৃশংসতার চর্চা করে না, তার অভিধান ফাঁকা, আমরা নৃশংসতার চর্চা করি, আমরা নৃশংসতা দেখি, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে। কোথায় যেনো মিল হয় অমিলের বল এন্ড সকেট আটাকিয়ে। আবার মিল নাই। ব্যাখ্যা খাটাতে হয়, যুক্তির ভিতরে সান্তনার জন্য। [২] বিবাহ বিচ্ছেদ ছেলে খেলা নয়। না পারতে তা করা হয়। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও দুইজন সামলে নেয়, মেনে নেয়। তারপরও অসহ্য হলে এ চরম সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
সিদ্ধান্ততো নিলে হে বাহাদুর, ‘বাহাদুরী’ (বাহাদুরের স্ত্রী লিঙ্গান্তর)। সন্তানদের কি হবে? তারা অন্যায় না করে কেনো তবে সবচে বেশী ভোগবে? হাতুড়ি প্রশ্ন করেন, করতেই হয় তাকে, সভ্যতার পরাকাষ্ঠা তিনি, ‘কার কাছে থাকবে কন্যা?’, কী নিষ্ঠুর প্রশ্ন সভ্যতার। যেন বলছে, ‘কোনটা দেবে, গলা না মাথা?’ এ প্রশ্নের ভারে, জগতে অনন্ত খাদক ব্লেক হোল তৈরি হয়, তার মুখে থুতু পড়ে। ‘কার কাছে থাকবে?’ শিশু দুইজনের মধ্যে ফারাক করতে পারে না, সে তো দুই থেকে এক। বলে বিজ্ঞান, মায়ের কাছে, লালনকারী তিনি, বলে সমাজ বাবা, তার কাছে ভবিষ্যৎ, আস্থা ইত্যাদি। শিশু এসব মানে না। কোনো সন্তানকি গরিব পিতা-মাতার বদলে ধণী পিতা মাতা নেবে? এখানে যুক্তি, বুদ্ধি, অংক অসার। এখানে বোধের চূড়ান্ত স্তর, এ স্তর ব্যাখ্যাতীত বা এর জন্য রয়েছে ভিন্ন ব্যাখ্যার বই।
তবে কি একদিন এখানে একদিন ওখানে, এতেও হয় না বিচার। তা হলে কি বিচার করা হবে না। নিশ্চয়ই বিচার করতে হবে। কেনোনা এর উচ্চে সমাধানের আর কোন পথ সভ্যতার হাতে নেই। একের পাপে অন্যকে সাজা তাকে দিতে হয়। পিতা চরম অপরাধ করেছে, তার ফাঁসি অব্যশ্যই হবে। কিন্তু সন্তান তো নির্দোষ, তাকে পিতৃহারা করা কোন অপরাধে? লেখক: চিকিৎসক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
