
প্রকাশিত: Thu, Mar 2, 2023 3:24 PM আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 3:25 PM
একুশের বইমেলা এবং মুজিব পিডিয়া
লুৎফর রহমান রিটন : ফরিদ কবির ফেসবুকে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা নিয়ে প্রায়শ নানান সমালোচনামূলক স্ট্যাটাস দেন। তাতে বাংলা একাডেমির আয়োজনের নানান ত্রুটি নিয়ে তীর্যক মন্তব্য থাকে। বাংলা একাডেমির ব্যর্থতা আবিস্কার ও নিরূপণে তিনি সিদ্ধহস্ত। এই যেমন-বাংলা একাডেমির বইমেলায় প্রচুর ধুলো। এই নিয়ে খুবই রাগান্বিত একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ফরিদ। আচ্ছা, ধুলো ঠেকাতে বাংলা একাডেমির ব্যর্থ না হয়ে কি উপায় আছে? ধরুন, বিকেল তিনটে থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ছয় ঘন্টা এবং ছুটির দিনে সকাল এগারোটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত দশ ঘন্টা-বইমেলার নির্দিষ্ট অঞ্চল জুড়ে প্রতিদিন গড়ে পঞ্চাশ হাজার মানুষ হাঁটাহাঁটি করেন। পঞ্চাশ হাজার মানুষের এক লক্ষ পা। এক লক্ষ পায়ের বিরামহীন অত্যাচারে বইমেলার মাঠ থেকে ধুলো উড়বে না তো কী উড়বে? রসগোল্লা নয় নিশ্চয়ই। হাহ হাহ হাহ।
আরেকটা স্ট্যাটাসে ফরিদ লিখেছেন-‘বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাদের অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন, এবারের বইমেলাটা নাকি সবচাইতে গোছানো ও সুন্দর। আসলেই কি? আমার কাছে তো বইয়ের বাজার-বাজারই লাগছে। বেশিরভাগ স্টলই সাজানো হয়েছে বাংলাবাজার বা কনকর্ডের বইয়ের দোকানের স্টাইলে। ফলে আমার কাছে বাংলাবাজারের মতোই লাগছে। কেবল কয়েকটি প্যাভিলিয়ন ও বুকস্টল এবং সেখানে লেখক-পাঠকদের ভিড় ও আড্ডা দেখে মনে হয়, এটা বইয়েরই মেলা’। ভাইরে, বইমেলাটা কিন্তু বইয়ের বাজারই দিনশেষে। শুধু প্যাভিলিয়ন দিয়ে বইমেলা হয় না। সব বুকস্টলে লেখক-পাঠকদের ভিড় এবং আড্ডাও হয় না। হবেও না কোনোদিন। সেটা তিনিও জানেন।
এবং একুশের বইমেলাটা অবচেতনে ফরিদ কবিরের কাছেও বইয়ের বাজার বলেই স্ট্যাটাসের সমাপ্তি টেনেছেন ফরিদ এভাবে-‘আমার কয়েকটা বই এখনো বইমেলায় অবশিষ্ট আছে। চাইলে সংগ্রহ করতে পারেন। যেমন-অমুক বই তমুক বই (ব্রাকেটে পাবলিশারের নাম)। হাহ হাহ হাহ। আমি বইমেলার পক্ষের মানুষ। বাংলা একাডেমির পক্ষের মানুষ। বাংলা একাডেমির একুশের বইমেলার পক্ষে আমার অবস্থান বরাবরের। এতোক্ষণ ধরে শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গণে সহযোদ্ধা ফরিদ কবিরের মতামতের বিরুদ্ধে আমি আমার মতামত পেশ করলাম। এবার মন খুলে কিছু প্রশংসা করি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘মুজিব পিডিয়া’ নামে দুই খণ্ডের অসাধারণ এক কর্ম সম্পাদন করেছেন ফরিদ কবির সিটি ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায়। এর প্রধান সম্পাদক কামাল চৌধুরী। মুজিব পিডিয়া হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্ঞানকোষ। দুই খণ্ডে প্রায় সহস্র পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ৫৯১টি ভুক্তি মুদ্রিত হয়েছে। পঁচাশিজন লেখক এই ভুক্তিগুলো রচনা করেছেন। ভুক্তিগুলোর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক ছবিও মুদ্রিত হয়েছে প্রচুর। মুজিব পিডিয়ার প্রকাশক হিস্টরি এন্ড কালচার সার্কেল লিমিটেড। বিনিময় মূল্য দুই খণ্ড একত্রে আট হাজার টাকা।
ডাকযোগে ঢাকা থেকে মুজিব পিডিয়ার একটি সেট আমার কাছে চলে এসেছে ফরিদ কবিরের কল্যাণে। প্রকাশনাটির আকার আকৃতি ওজন ছাপা এবং বাঁধাই চমৎকার। আনিসুজ্জামান সোহেলের করা প্রচ্ছদটিও দৃষ্টিনন্দন। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষকে সামনে রেখে তাঁকে নিয়ে অগুন্তি বই প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে, তাঁর জীবন-কর্ম-আদর্শ-দর্শন ইত্যাদিকে আশ্রয় করে আস্ত একটি এনসাইক্লোপিডিয়া বা জ্ঞানকোষ প্রকাশের পরিকল্পনাটি অভিনব এবং উচ্চকণ্ঠে অভিনন্দনযোগ্য। মুজিবপিডিয়া প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার তিন উল্লাস। অটোয়া ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। লেখক: ছড়াকার
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
