প্রকাশিত: Sat, Mar 4, 2023 6:27 AM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 3:10 PM

বাস মালিকদের রক্তচোষা এবং গরিবদের ট্রেনে কম ভাড়ায় যাতায়াত

মনজুরুল হক : মার্চ থেকে ট্রেনের টিকিট কাটতে ন্যাশনাল আইডি বা বার্থ সার্টিফিকেট লাগবে। এই ফরমানের লজিক-টিকিট কালোবাজারি রোধ করা। মাননীয় কর্মকর্তারা ভাজা মাছটি উল্টে খেতে পারেন না, অথচ স্টেশনের বাইরের রিকশা চালকরাও জানে, কারা টিকিট কালোবাজারি করে। কোন যাদুবলে অনলাইনে সাতদিন আগে সকাল আটটায় অগ্রিম টিকিট পাঁচ মিনিটেই শেষ হয়ে যায়? আসলে এসব কিছু না, জবাবদিহি ছাড়া ক্ষমতা থাকলে রাস্তার নিরীহ কুকুরটারও পা ভাঙতে ইচ্ছা করে। আপনারা মাফিয়া বাসমালিকদের হয়ে কাজ করবেন, তা এতো টালবাহানার কী দরকার? সোজা হিসাব; ট্রেনের টিকিটের দাম বাসের চেয়ে বাড়িয়ে দিন। ট্রেনের ছাতা আপনিই বন্ধ হয়ে যাবে। একের পর এক ডিজিটাল ফরমান জারির উদ্দেশ্য আসলে খেটে খাওয়া মানুষদের শহরছাড়া করা। ওরা পকেটে করে এনআইডি বয়ে বেড়াতে পারবেও না, টিকিটও পাবে না। বাস মালিকদের রক্ত চোষার কারণে গরিবরা ট্রেনে একটু কম ভাড়ায় যাতায়াত করে। 

আপনাদের সেটা সহ্য হচ্ছে না। নতুন বগি আনার এক সপ্তাহের মধ্যে টয়লেটের ট্যাপ, লাইট, হুক, কব্জা, ফ্যান, রেক্সিন কে খুলে নেয়? যাত্রীরা? মোটেও না। এসব করে আপনাদের টাকা খেয়ে চাকরি দেওয়া স্টাফরা। তারাই একটা এনআইডি দিয়ে আগের মতো চারটে টিকিট বাগিয়ে নেবে, কারণ সেসব সুবিধে দেওয়ার জন্যই কাউন্টারের পেছনে স্টাফরা ছিপ ফেলে বসে আছে। আপনাদের এই ‘বিশ্বব্যাংকের অনুদানের’ সেক্টরের দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতি বলতে শুরু করলে শেষ হবে না। আপনাদের হেরিটেজ স্টেশন কমলাপুরে ম্যানুয়ালি ঘোষণা হয়। অস্পষ্ট, আঞ্চলিকতাদুষ্ট এবং দায়সারা। কখনো পার্ফেক্ট ছাড়ার টাইম-আসার টাইম বলতে পারে না। 

‘একটু পরেই ছেড়ে যাবে’ মানে কী? ডিজিটাল বোর্ডে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। যেকোনো মানুষ বাজি ধরে বলতে পারবে, এই জটিলতার পরও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে না। তাহলে কেন গরিব মানুষদের সঙ্গে এইসব বৈরিতা? চুরি-দারি করে তো রেলওয়েকে ছোবড়া বানিয়ে দিয়েছেন। তা দিন, সমস্যা নেই, ওটা আমাদের ভবিতব্য। অন্তত সাধারণ মানুষ যাতে বিনা ফ্যাচাঙে যাতায়াত করতে পারে সেটা দেখুন। রেলওয়ে তাদেরও।

লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট