জাকির তালুকদার: এতো বছর ধরে শুনে আসছি সিপিবি হচ্ছে আওয়ামী লীগের বি টিম। কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে দেখছি, আওয়ামী লীগই নাকি সিপিবির সম্প্রসারিত রূপ। বুঝে আসে না আমার। চীনা বামেরা মূলত বিএনপি-ঘেষা। বিএনপি গঠনে চীনা বামদের অংশগ্রহণ ছিলো ব্যাপক। হঠাৎই ২০০৭ সালে চীনা বামেরা আওয়ামী লীগের সি, ডি, ই, এফ টিম হয়ে গেলো। আর যে সিপিবি ছিলো আওয়ামী লীগের বি টিম, তারা দুই বড় দল থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতি ঘোষণা করলো। সেটি আওয়ামী লীগের গাত্রদাহের কারণ হয়েছে। বড় দল বা প্রাক্তন শাসকদল হিসাবে বিএনপির কর্মীরা অত্যাচারের শিকার হয়েছে। তাদের বাদ দিলে এককভাবে সরকারের বিরোধিতায় এতো বছর মাঠে থেকেছে কেবল সিপিবিই। কখনও কখনও সঙ্গে বাসদ। মার খেয়েছে, জেল খেটেছে সিপিবি-ছাত্র ইউনিয়ন-উদীচীর লোকেরাই। 

একথা সত্যি যে সিপিবি ও তার গণসংগঠনগুলোর মধ্যে অনেকে নেতা-কর্মী মনে মনে আওয়ামী লীগই। তারা এখনও সিপিবিকে সেদিকেই টানতে চায়। কিন্তু সিপিবির ভেতরে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চাওয়া অংশ পার্টির স্বাধীন অবস্থান ধরে রেখেছেন। এখন পর্যন্ত সিপিবি কোনো জোটে যায়নি। নিজেদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে। তারা জানে যে ইনু-মেনন-দিলীপদের যে দেউলিয়া পরিণতি হয়েছে, মান্না-সাকিদেরও সেই একই পরিস্থিতি হবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রথম সিপিবি একটি স্বাধীন পার্টির রূপ লাভ করার চেষ্টা করছে। এর সুদূরপ্রসারী ফল অবশ্যই পার্টি এবং জাতির জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে আশা করি। লেখক: কথাসাহিত্যিক। ফেসবুক থেকে