খোশরোজ সামাদ: [১] ক্রিকেটে বাংলাদেশের জয়ের ইতিহাস মাত্র তিন দশকের। তার আগে কালে ভদ্রে জিম্বাবুইকে হারালেও পাড়ায় পাড়ায় ‘গরু জবাই’ দিয়ে ভুরিভোজ হতো। সময়ের বিবর্তনে বাংলাদেশ ক্রমশঃ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। [২] মিরপুর স্টেডিয়ামে আজ ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নামের অবহেলিত বদ্বীপ বিজয় ছিনিয়ে আনলো। ঈযধহপব নু ড়পপঁৎধহপব নু পযধহপব নয়, দস্তুরমত ভালো খেলেই সিরিজ জয়ের বরমাল্য ছিনিয়ে নিলো। [৩] এ কথা খুব বেশি অত্যুক্তি হবে না যে, ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরপরই ক্রিকেটে তাদের জয়ের পদব্রজ শুরু। ভারত- পাকিস্থানের রাজনীতির স্নায়ুযুদ্ধ ক্রিকেট ময়দানেও চলে এসেছে। জয়ের জন্য মরিয়া দুই দেশ শতশত কোটি টাকা ঢেলেছে। ধারাবাহিকতা রাখবার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাও ছিল নিরবিচ্ছিন্নভাবে। আই সি সিকে চোখ রাঙানো, কখনো পর্দার অন্তরালে চাণক্য কূটনীতির মাধ্যমে আই সি সিকে পকেটে রাখার অভিযোগ এন্তার শোনা গেছে। 

কোহলিসহ ভারত-পাকিস্থানের অনেক ক্রিকেটার বাংলাদেশের দিকে কদর্য অঙ্গভঙ্গি করেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিরুদ্ধে দাদাগিরি, উপেক্ষা, ট্রল, উন্নাসিকতা যেন ভারতের স্বভাবজাত মিথস্ক্রিয়া। আর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পিছনে ছিল কোটি দর্শকদের অকৃত্রিম ভালবাসা, সর্বোপরি হাজারও  ‘মা’দের অশ্রুসজল চোখে জায়নামাজে অসংখ্য বিনিদ্র রজনীর গীতিকা। [৪] বাংলাদেশ জয়ের কুশীলবাগানোর খেলায় আত্মপ্রত্যয়, অপমানের প্রতুত্তরের জবাব আচরণ নয় ভাল খেলেই দিয়েছে। নিজের সাফল্য নয় দেশের সাফল্যকে তুলে ধরবার জন্য আকাশ ছোঁয়া টিম স্পিরিট নিয়ে খেলেছে। বাংলাদেশ অন্তত ক্রিকেটে দুনিয়ার সকল ক্রিকেট খেলুড়ে দলদের অন্তত একবার করে হারিয়ে পৃথিবীকে জয় করেছে বললে কি খুব ভুল হবে? খেলোয়াড়দের সবার বুকেই একটি পাখি নিরন্তর গান গেয়েছে আর সেই পাখিটির নাম ‘বাংলাদেশ ’যে!