
প্রকাশিত: Mon, Apr 3, 2023 2:00 PM আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 6:37 PM
সত্যিকারের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক কারও শত্রু নয়, আবার কারও বন্ধুও নয়
সৈয়দা সাজিয়া আফরিন : সার্বভৌমত্ব ও স্বায়ত্তশাসন হচ্ছে স্বাধীনতা। সেইটা কোনো অবস্থায় চাল, ডালের বিনিময়ে নেগোশিয়েবল না। আবার সাধারণ মানুষ বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া রাজনৈতিক অসচেতন অনেক অনেক মানুষ সার্বভৌমত্বটা বোঝে না। ক্রান্তি যারা দেখেনি সেরকম অনেক শিক্ষিতও বোঝে না। বুঝতে হবে এই মুহূর্তে দেশে যুদ্ধ চলছে না। যে স্বাধীনতা অলরেডি অর্জন হইছে যেখানে রক্ত ঢেলেছে রাজনৈতিক অসচেতন এবং ওই চাইল, ডাইলের স্বাধীনতা খোঁজা মানুষও। এখন ওই পাকবাহিনীও নাই যুদ্ধও চলছে না। চাল, আর ডালের স্বাধীনতা, স্বাধীনতা দিবসে চাওয়ায় কি অপরাধটা হইছে? এই সংবাদটাকে আমি করনিক টাইপ ভুল হিসেবেই দেখেছি। এরকম প্রি-কনসেপ্ট নিয়ে যদি প্রথম আলো খবর করতে চাইতো, তাহলে অনেক তথ্যনির্ভর বস্তুনিষ্ঠ খবর করতে পারতো। চাইল আর ডাইলের চাহিদায় মানুষের মরণদশা এমন সত্য তা যদি ১০০ বার ক্রসচেক করেন, একশবার নির্ভুল হবে। পরিকল্পিত হলে এটাতে এমন ভুল থাকতো না। একজনের নামে অন্যজনের বক্তব্য থাকত না। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের কাছে জাকির হোসেন নামের কারও বক্তব্য অবশ্যই রেকর্ড আছে। সূত্র প্রকাশ না করলেও রেকর্ড রাখে না এমন কোনো প্রতিবেদক কোনো সদ্য গজানো অনলাইনেও নেই।
১০ টাকা দিয়ে ছবি তোলার কেচ্ছায় যাওয়ার আগে বলি নিঝুম মজুমদার ব্যাপক পরিচিতি পান একটি ভাইরাল অডিও রেকর্ড ও কিছু স্ক্রিনশটের মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায় তিনি সুইসাইড এটেম্পট করেছিলেন তার বিবাহবহির্ভূত একটি একতরফা সম্পর্কের জন্য। এইটা যদিও তার ব্যক্তিগত বিচ্যুতি তথাপি তার যাবতীয় কাজও ওই ব্যক্তিগত ব্যপারটির মতো দান্দ্বিক, আত্মবিরোধী এবং প্রচারপ্রেমি।
এবার বলি ১০ টাকার প্রশ্ন। পিরিয়ড স্যানিটেশন নিয়ে নিজের পোর্টালে নিউজের জন্য যখন বস্তিতে গেছি, রোহিঙ্গা ক্যম্পে এবং খুব নরমাল প্রশ্ন করেছি। খুবই সাধারণ ফিচারের জন্য। টাকা দিতে হয়েছে। ১০ টাকা বা শ দুশো না দিলে এরা কথা বলাটাকে সময়ের অপচয় ভাবে। দূর দূর করে কুকুর তাড়ানোর মতো তাড়ায়। নন জার্নালিস্ট শখের ফটোগ্রাফারও যখন কারও ছবি তোলে তাকে টাকা দেয়, চা বিস্কিটের অথবা বিরিয়ানি কিনে দেয়।
রুমের মধ্যে বসে একখানা রিং লাইটের সাহায্য নিয়া বকবক করা লোক ফিল্ডের কাজের মানে কী বুঝবে? নিঝুম মজুমদারের ভিডিওটা দেখলে বুঝা যায় তিনি কোনো ক্রিমিনাল ধরার অপারেশনে যাচ্ছেন এইরকম তার বডি ল্যাংগুয়েজ, বাচ্চাটা গোসল থেকে বেরিয়েছে তাদের প্রাইভেসিতে ক্যামেরা নিয়ে ঢুকে পড়া এবং ইন্টারোগেশনের মতো প্রশ্ন করা। এগুলো কখনও প্রফেশনাল কেউ করতে পারে না। একবার অনুমতি নিয়েই একজন জরায়ু টিউমারে প্যাশেন্টের ছবি তুলছিলাম তার ৮ ফিটের ছোট্ট ঘরে। আমি দেখেছিলাম ওই অসুস্থ বৃদ্ধাও খুব আনকমফর্টেবল হচ্ছিলেন। আমি বলেছি এগুলো আমি কোথাও প্রকাশ করবো না, কাউকে দেখাব না। কিন্তু আমি যে এসেছি তার প্রমাণ আমাকে রাখতে হয় বলে আমি ছবিটা তুললাম।
যাই হোক নিঝুম মজুমদারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, ওইগুলো সংবাদপত্র না যেগুলো শুধু পক্ষে পক্ষে লেখে ওগুলো মুখপত্র। সত্যিকারের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক কারও শত্রু নয়, আবার কারও বন্ধুও নয়। লেখক: সম্পাদক, উইম্যানভয়েসবিডি.কম
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
