প্রকাশিত: Tue, Apr 4, 2023 2:31 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 1:51 PM

অজ্ঞতার নাম কোনোকালেই সাহস ছিলো না

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ : বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বড় ভাই, বর্তমানে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক তার একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, আল জাজিরা ও ডয়েচে ভেলের ডকুমেন্টারি থেকে ‘স্পষ্ট’ হয়েছে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ ‘নির্দেশ’ কোথা থেকে আসে। বলাই বাহুল্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করেছেন। আমি নিজেও ডকুমেন্টারি দুটি দেখেছি। স্পষ্ট তো দূরের কথা ‘নির্দেশ’ যে টপ অফিস থেকে এসেছে তার আভাসও দিতে পারেনি ডকু দুটি। এজামশান আর স্পষ্ট হওয়া এক জিনিস না। আমি ফাহমিদ ভাইয়ের পোস্টে আলাপ তুলেছিলাম। বললেন, আলাপে উনার ইচ্ছে নেই। একজন সাংবাদিকতার প্রফেসর ‘স্পষ্ট হওয়া’ বলতে কি মনে করেন আমি বুঝতে পারিনি। উনাকে জিজ্ঞেস করলাম প্রধানমন্ত্রীর ‘নির্দেশ’ তো একটি প্রটোকল মেনে আসে। তা কি উদঘাটিত হয়েছে? মানবতাবিরোধী অপরাধ এর একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। কোন ডকুমেন্টারিতে তো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগও আনা হয়নি। 

তাহলে তিনি বললেন কেন? তিনিও প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে ধরে নেব? আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিলো। সেই সরকারের আমলে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছিলো। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। বর্তমান সরকারের সময় ঘটনা দুটির বিচার হয়েছে। ঘটনা দুটির জন্য তখন আওয়ামী লীগ দায়ী করেছিলো তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। কিন্তু আদালতে সেই অভিযোগ বিয়ন্ড রিজনেবল ডাউট বা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। দেশের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি তৈরি করতে পারে এমন ঘটনায় সরকারপ্রধানের সংশ্লিষ্টতা আদালতে প্রমাণ হয়নি। কিন্তু ফাহমিদুল হকের মতো শিক্ষকরা ঢালাও কথা বলে সাহসী বুদ্ধিজীবী হিসেবে নাম কুড়োতে চান। অজ্ঞতার নাম কোনোকালেই সাহস ছিলো না। এখনো না। লেখক: সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে