ইমতিয়াজ মাহমুদ : খুবই সংক্ষেপে একটা কথা জানিয়ে রাখি। আমাদের সংবিধানের অধীনে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা একদম নিরঙ্কুশ। আর বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের এবং সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার উপরও কোনো বাধানিষেধ সংবিধানে আরোপ করা হয়নি। যেটা করা হয়েছে সেটা হচ্ছে, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতায় রাষ্ট্রের বা সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ সীমিত করা হয়েছে।  

সংবিধানে বিধানটা হচ্ছে ৩৯ নং অনুচ্ছেদ। এইখানে রাষ্ট্রের জন্যে সীমিত সুযোগ রাখা হয়েছে, যাতে করে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে ‘আইন দ্বারা’ ‘যুক্তিসঙ্গত’ বাধা নিষেধ আরোপ করা যায়। এর অর্থ হচ্ছে সাধারণভাবে বাকস্বাধীনতা নিরঙ্কুশ বলেই বিবেচিত হবে, তবে ওই নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে পার্লামেন্ট আইন করে যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে। অর্থাৎ বাধা নিষেধ যদি কোনো আইনে আরোপ করা হয় সেটিকে হতে হবে যুক্তিসঙ্গত। 

যারা বলেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতারও একটা সীমা আছে, ওরা ভুল বলেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কোনো সীমা নেই বরং উল্টো মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সীমানা নির্ধারিত করা হয়েছে সংবিধানে। এমনিতে আপনার মনে হতে পারে যে এইটা হচ্ছে একই কথা দুইভাবে বলার মতো একটা বিষয়। কিন্তু আসলে সেটা নয়। আইনজীবীদের জানার কথা যে এটা একটা বাস্তব এবং প্রায়োগিক পার্থক্য এবং গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। কাজের চাপ আছে, আপাতত এইটুকুই বলে রাখি। লেখক: আইনজীবী। ফেসবুক থেকে