রবিউল আলম : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী চানÑ তার বিস্তারিত বিবরণ বোঝাতে পিটার হাসের বাসভবনে, শ্যামা ওবায়েদসহ। কী বুঝিয়েছেন, তত্ত্বাবধায় সরকার সম্পর্কে? দেশের জনগণের সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি। বাসভবনের সব কথা বুঝা যায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না বুঝবার অনেক কারণ আছে। সবচেয়ে বড় কারণ, তাঁর দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে কিছু নেই, নেই গণতন্ত্রে। তিন টার্ম বাংলাদেশে ছিলো সমঝোতায়, বিশ্ব অবাক হয়েছে, পর্যবেক্ষণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যক্রম। কিছু দেশে দাবি উঠেছিলো, পাকিস্তানে আন্দোলন হয়েছে, আমেরিকানদের মাথায় কী আছে? ফখরুল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুঝাতে পারছেন না। আমেরিকার বুঝে নিজের ষোলোআনা, ফখরুল দিতে চান আঠারো আনা। 

ইউক্রেন যুদ্ধে নিঃশেষ হওয়ার পথে আমেরিকা? ইউরোপ দ্বিধাবিভক্ত, এশিয়ায় বন্ধু শূন্য, মধ্যপ্রাচ্য হাতছাড়া, আফ্রিকা লাগাম ছাড়া। বাংলাদেশ উদীয়মান টাইগার, সুন্দরবনের মধু থেকে মুখ ফেরানো যাচ্ছে না। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণকে বুঝাইতে না পারলে, বুইঝা কী হবে। মার্কিনিদের বুঝাইতে হেডম লাগে, জনগণের সমর্থন ও অর্থনৈতিক খুঁটির জোর লাগে। দেশে আগুন দিয়া আমেরিকার জন্য আলুপোড়ার ব্যবস্থা করতে পারলে আপনি বিএনপি-জামায়াত, পাকিস্তান-আফগানস্থান। সৌদির তেল পাহাড়া, সুদানের যুদ্ধে অস্ত্র বিক্রেতা। ইরানের জাতকল থেকে মুক্ত হতে পারছে না মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। 

পিটার হাসের বাসভবনে শ্যামা ওবায়েদ রাজনৈতিক কৌশলে আটকা পরেছেন। এবার নির্বাচনে যেতে হবে, সিট যা পাওয়া যায়। মোমেন বলেছেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে, ভোট কারচুপির প্রমাণ রাখতে অংশগ্রহণ ছাড়া হবে না। বিশে^র সঙ্গে আমরা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। বিএনপিকে বুঝানোর দায়িত্ব আপনাদের। পাপিয়া, শ্যামা ওবায়েদ, রুমিন ফারহানাÑ যে মাধ্যমকে ইচ্ছা বেছে নিতে পারেন। বিচার মেনে তাল গাছে আঁকড়ে থাকলে মার্কিনিদের গ্রহণযোগ্যতার থাকবে না। অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করবেন কীভাবে? লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি