প্রকাশিত: Thu, Apr 20, 2023 10:21 AM আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 8:46 PM
রজজানে জাকাত নিয়ে ‘ক্যাচাল’ লাগে কেন!
আরিফ জেবতিক : প্রত্যেক রমজানে দেখি অনলাইনে ক্যাচাল লাগে, অমুক সংগঠনকে জাকাত দেওয়া যাবে না, তমুক সংগঠনকে জাকাত দেওয়া যাবে না। আপনারা কোন কাননের ফুল গো, যে জাকাত গ্রহণ করার মতো গরিব আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী, পরিচিতজন আপনাদের একেবারেই নেই? তাঁদের জাকাত না দিয়ে কেন অমুক তমুক সংগঠনের মাধ্যমেই জাকাত দিতে হবে? যাদের জাকাত দেওয়ার সামর্থ্য অনেক বেশি, তাঁরা একেকজনকে বেশি বেশি করে দিতে পারেন।
আমাদের গ্রামের একজন বড় ব্যবসায়ী, তিনি আশেপাশের গ্রামের গৃৃহহীনদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেন। আরেকজন তাঁর গ্রামের মানুষদের বড় কোনো অসুখ হলে সেই অপারেশন, শুশ্রুষা সবকিছুর দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। আমি আরেকজনকে চিনি, তাঁর গ্রামে নিজস্ব লোক আছে যারা খেয়াল করে দেখে যেকোনো ইজিবাইকের ড্রাইভার পরিশ্রমী, আচার আচরণে ভালো কিন্তু নিজের ইজিবাইক নেই। তাঁরা জাকাতের টাকায় ইজিবাইক কিনে দেন। শাড়ি-লুঙি দেওয়া বা অন্যান্য চলতি জাকাত দেওয়ার সিস্টেম তো চলছেই, কিন্তু একটি সাসটেইনেল ইম্প্যাক্ট বা টেকসই উন্নতির জন্য মানুষকে সাহায্য করলে আমার কাছে বেশি ভালো মনে হয়। কিন্তু যাদের জাকাতের পরিমাণ অল্প এবং সেই জাকাত বিতরণের মতো গরিব আত্মীয় পরিজন নেই, তাঁরা বিপাকে পড়তে পারেন। আবার আমাদের সিলেটের প্রচুর প্রবাসী আছেন, যাদের পক্ষে জাকাত বিতরণে সরাসরি সম্পৃৃক্ত হওয়ারও সুযোগ নেই। এসব ক্ষেত্রে জীবনকে সহজ করার জন্য মানুষ বিভিন্ন সংস্থা খুঁজে সেখানে দান করেন আর ‘জাকাত দেওয়া যাবে কিনা, জাকাত ঠিকমতো ব্যয় করল নাকি মেরে খেল’এসব টেনশনে ভুগতে থাকেন।
আমার মনে হয় এখানে সকল মসজিদ কমিটিরা স্থানীয়ভাবে দায়িত্ব নিতে পারেন। যেমন আমাদের গ্রামের যারা সরাসরি বিতরণ করতে পারবেন না, তাঁরা সকলের জাকাত গ্রামের মসজিদ কমিটির কাছে জমা হতে পারেন। মসজিদ কমিটি যেহেতু স্থানীয়ভাবে সবাইকে চিনেন, তাঁরা সেখানে সবার প্রয়োজন অনুসারে বিতরণ করতে পারবেন। এতে করে কেউ কয়েকবার পাবে, আর কেউ একেবারেই পাবে নাÑ এমন হওয়ার সম্ভাবনাও কমে আসবে। মসজিদ একটি কমিউনিটির সঙ্গে নিবিঢ়ভাবে সম্পৃক্ত, মসজিদের কমিটিতে সাধারণত সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থাকেনÑ তাঁরা সবাই একসঙ্গে বসে তালিকা করে, প্রয়োজন বিবেচনা করে যদি নিজেদের গ্রামে জাকাত বিতরণ করেন সেটির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও থাকবে, আবার গ্রামে কার কর্মসংস্থান দরকার, কার অন্য প্রয়োজন বেশি এসব অনুসারে বিতরণও সহজ হবে। তখন এই কারে দেবো, দেবো কী দেবো নাÑ এই বিড়ম্বনা থেকে অনেকেই মুক্তি পাবেন। লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
