
প্রকাশিত: Thu, Apr 20, 2023 10:25 AM আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 10:56 PM
বিদ্যানন্দ : ‘গোবরে পদ্মফুল’
শিশির ওয়াহিদ : অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কাজ করলে সমালোচনা হবে, আলোচনা হবে। যে কিছু করে না, তাকে নিয়ে কিছুই হয় না। ক্ষেত্র বিশেষে সমালোচিত হতে হয় কারও টার্গেটে পড়ে। আমি নিজেও এমন টার্গেটে বহুবার পড়েছি। বিদ্যানন্দের কাজকে আমি পছন্দ করি, তাদের কাজের প্রশংসা করি। নেতিবাচক কিছু পেলে সেটা নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনাও করি। কোনো এক বা একাধিক ছবি ফেসবুকে দু’বার ভিন্নস্থানে আপলোড হওয়া দেখে আমি বিদ্যানন্দের সকল অবদানকে অস্বীকার করতে পারি না। দুয়েকটা চিত্রবিভ্রাটে বিদ্যানন্দ আমার কাছে ‘ইস্কনন্দ’ হয়ে যায় না।
শুরু থেকেই বিদ্যানন্দকে একধরনের হিন্দুয়ানী ট্যাগ দেওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। বিদ্যানন্দকে কখনো নির্দিষ্ট একটি দেশের দালাল, নির্দিষ্ট কোনো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, কখনো-কখনো কোনো বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ইত্যাকার অপবাদে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এসব অভিযোগ তখনই সমর্থনযোগ্য, যখন অভিযোগগুলো প্রমাণিত। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের কিছু অংশের আনিত অভিযোগ সমূহ প্রমাণহীন নিষ্প্রাণ হয়ে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরাস্ত করতে না পেরে শেষতক অর্থ পুঁজি ও আত্মসাতের অপবাদ দেওয়া হয়েছে বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর দাসের প্রতি। কিশোর দাস অপবাদ ঘোচাতে সন্তান-সন্ততি জন্মদান থেকে বিরত থাকার মতো দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদেশি প্রেমিকাকে বিয়ে করেছেন। এসবেও কাজ হচ্ছে না।
বিদ্যানন্দ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, বিদ্যানন্দ বেকায়দায় পড়েছে। কারও ব্যবসায় ভাগ বসানোর আগে বিদ্যানন্দের আরও কয়েকবার ভাবা উচিত ছিলো। আপাততো জাকাত-ফিতরার অর্থের দিকে নজর না দিলে বিদ্যানন্দ হয়তো আরও কিছুটা দিন ভালোভাবে ফাইট করতে পারতো। মোদ্দা কথা, এতকিছুই হতো না, যদি বিদ্যানন্দের নাম বিদ্যানন্দ না হয়ে ইমানানন্দ হতো, বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর দাসের নাম কিশোর দাস না হয়ে কলিমুদ্দী কিংবা সলিমুদ্দী হতো। কেউ আমার নাম জিজ্ঞেস করলে সচারাচর আমি ডাকনামটাই ব্যবহার করি। আমার নাম শুনে এখনো পর্যন্ত অনেককে মুখের উপরে বলতে দেখেছি, ‘শিশির তো হিন্দুদের নাম’। এমন একটা সময়ে বাস করে আমাকেও যদি নাম নিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয়, আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগতে হয়, তাহলে ভিন্নধর্মাবলম্বী কিশোর দাসকে নিয়ে কেন বিভ্রান্তি ছড়াবে না।
আপনি নির্দ্বিধায় ধরে নিতে পারেন, বিদ্যানন্দের সঙ্গে যা হচ্ছে তা সংগঠনের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব। গজিয়ে ওঠা মাইকশ্রেণির চিহ্নিত কিছু সদস্য বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে যেতে মানুষকে কৌশলে উসকে দিচ্ছে, কিছু ভুইফোঁড় পেজ থেকে বিরুদ্ধাচারণ করা হচ্ছে। বিদ্যানন্দ এখন গোবরে পদ্মফুলের মতো অবস্থায় পড়েছে। গোবরবাসী কিছুতেই পদ্মফুলের সৌন্দর্যকে গ্রহণ করতে পারছে না। গোবরবাসী চেয়েছিলো আমিও তাদের মতো বিদ্যানন্দকে সমালোচনা করি। কিন্তু উল্টো বিদ্যানন্দের বদলে আমি গোবরবাসীরই সমালোচনা করে গেলাম। আমার বিশ্বাস, বিদ্যানন্দ অনেক দূর অব্দি এগোবে। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
