প্রকাশিত: Fri, Dec 9, 2022 10:18 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 11:23 AM

কে এতো প্রভাবশালী সাংবাদিক?

হাসান শান্তনু: এক সময়ের জাঁদরেল সাংবাদিক নিকোল পেশিনিয়ান এখন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী। দেশটিতে অনুষ্ঠিত ‘ভেলভেট বিপ্লবে’ নেতৃত্ব দেয়ায় তিনি নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয়। সাংবাদিকতা ছেড়ে হয়ে উঠেন রাজনীতিক, একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নিকোল কোনো তথ্য দিয়ে যুুক্তরাষ্ট্রকে ‘উদ্বিগ্ন’ বানাতে পারেন, এমন ক্ষমতা তাঁর সম্ভবত নেই। তা থাকলে বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমে আলোচনা নিশ্চয় হতো। ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা থিওডোর হের্জলও সাংবাদিক ছিলেন। তাঁরও সম্ভবত ওই ক্ষমতা ছিলো না।

জীবিত ও প্রয়াত প্রভাবশালী আর্ন্তজাতিক দুই সাংবাদিকের যুুক্তরাষ্ট্রকে ‘কাঁপানো-ফাঁপানোর ক্ষমতার’ পর জানা হোক রূপালি পর্দার কথা। সাংবাদিকতা থেকে একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন অনিল কাপুর ‘নায়ক’ সিনেমায়। ওই সিনেমার গল্পটার বস্তাপঁচা আদলে কলকাতায়ও বাংলাছবি নির্মিত হয়। এতে অভিনয় করেন একসময়ের বামপন্থি, এখন বিজেপির মতো উগ্রপন্থি দলের নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বামপন্থি হওয়ায় মিঠুনের ‘ডিস্কো ড্যান্সার’র মতো সিনেমাগুলো সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশে দারুণ ব্যবসা করে, তেমনই এখন তাঁরসহ বলিউডের পর্দার ভাঁড় পরেশ রাওয়াল, অনুপম খের, নায়ক অক্ষয় কুমারের কর্মকাণ্ড ভারতের গেরুয়াবাদীদের কাছে সাংঘাতিক ব্যবসা সফল হয়।

অনিল কাপুরের ‘নায়ক’ সিনেমা ভারতে নির্মিত হয় ২০০১ সালে। আর ওই সিনেমার গল্প ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বাস্তবায়িত হয় ২০০৭ সালে। এক এগারোর সরকারের সময়। বিদ্যমান পুরো ব্যবস্থা বাজে, এ অভিযোগে অসরাসরি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলে রাখার তত্ত্ব ছিলো সেটা। গত শতাব্দির সত্তর, আশির দশকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ক্ষমতায় সেনাবাহিনীকে সরাসরি আনতো যুুক্তরাষ্ট্র। এক এগারোর মতো সরকারগুলো হয় সেনাসমর্থিত, সরাসরি সেনারা ক্ষমতা নেন না। বিষয়টা হচ্ছে, ‘লিভ টুগেদারে’ কাজ হলে মন্ত্র, বা কলেমা পড়ে বিয়ের ঝুঁকি না নেয়ার মতো।

‘নায়ক’ ছায়াছবিতে সাবেক সাংবাদিক অনিল কাপুরের এতো ক্ষমতা থাকে না, যা বলে তিনি যুুক্তরাষ্ট্রকে উদ্বিগ্ন করে তোলতে পারেন। যা পেরেছেন এ দেশের এক সাংবাদিক। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ জানানোর পেছনে বাংলাদেশি এক সাংবাদিককে দায়ী করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। মন্ত্রী মশাইয়ের এ ‘বাণীর’ পর ফেসবুকে আলোচনা বেশি হচ্ছে দুজন সাংবাদিকের নাম। একজনের নামের আদ্যক্ষর ‘জ’, আরেকজনের ‘ম’। মারাত্মক সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে বলছি, তথ্য দিয়ে যুুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বমোড়লকে উদ্বেগের মধ্যে ঠেলে দেয়া সেই সাংবাদিকের নাম জানা নেই। কে তিনি? লেখক: সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে