প্রকাশিত: Wed, May 3, 2023 10:26 AM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 2:04 PM

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই

শামসুদ্দিন পেয়ারা : ছেঁড়াফাটা জিন্স পরা, চুলে রঙ মাখানো, দাড়ি ভাসান দেওয়া আর শ্বাসরুদ্ধকর হিজাব প্যাঁচানো মেরুদণ্ডহীন ছাত্র নামের কলঙ্কগুলো ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য কর্তৃপক্ষের উপর চাপ দেয় না কেন? পঞ্চাশ বছর ধরে দেশে রাজনীতি নেই। তিরিশ বছর ধরে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নেই। দেশের সবগুলো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি বছর বছর নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতো তাহলে গত ত্রিশ বছরে বাঙলাদেশে দশ হাজারের বেশি নতুন রাজনৈতিক নেতা ও সংগঠক সৃষ্টি হতো। রাজনীতিতে নতুন রক্ত প্রবাহিত হতো। নতুন চিন্তা, ধ্যানধারণা ও আচরণের উদ্ভব ঘটতো। দুই দলের পরিবারতান্ত্রিক ও পূত্র প্রমোটিং গান্ধা রাজনীতির পাল্টা একটা সহনীয় ও মার্জিত রাজনৈতিক, সামাজিক ও রুচিকর সাংস্কৃতিক বাতাবরণ সৃষ্টি হতো। দেশটা আরেকটু সভ্য, সচেতন ও চলমান হতো।

প্রতিদিন দেশের শত শত ক্যাম্পাসে দল বেঁধে আসা যাওয়া করা এই লক্ষ লক্ষ ছাগল ও ভেড়ার গড্ডলিকাগুলোর উচিত ছাত্রলীগ-ছাত্রদলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট খুনাখুনি বন্ধ রেখে তাদের শিক্ষায়তনে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানানো। অবিলম্বে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন পূনঃপ্রবর্তনের জন্য জোর আন্দোলন গড়ে তোলার এখনই সময়। একটি সুসভ্য গণতান্ত্রিক উন্নত প্রগতিশীল ও  প্রতিযোগিতামূলক আগামী দিনের বাঙলাদেশের ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য এ মুহূর্তে তরুণ সমাজকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হতে হবে। তাদেরকে জাতীয় রাজনীতির মূল চালিকাশক্তির ভূমিকা পালন করার লক্ষ্যে রাজনীতির কেন্দ্রস্থলে অবস্থান নিয়ে তার নিয়ন্ত্রনভার গ্রহণ করতে হবে। আজ যারা ছাত্র আগামী কাল তারাই দেশনেতা ও রাষ্ট্রনায়ক। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই তারা তাদের নেতৃত্বের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করে এবং কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর তাদের সে যোগ্যতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়। এ কারণেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন বর্তমানের ঝিমিয়ে পড়া রাজনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চারের প্রধান শর্ত। লেখক: মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক