প্রকাশিত: Sun, May 7, 2023 6:18 PM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 2:19 PM

আমাদের পূর্বজ নারীর কাজের কম্পেনসেশন আমরা দিয়ে যাচ্ছি

সৈয়দা সাজিয়া আফরিন : টুয়েলভ থেকে মাত্র থার্টিনে ঢুকতেই মেয়েগুলোর লম্বা চুল ঘাড়টাকে বাঁকিয়ে দেয়। লজ্জার আড়ষ্টতা, কুণ্ঠা ভেতরের শিশুটার টুটি চেপে ধরেছে। ওদের কোনো স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটি নেই। নারস এর ফাউন্ডেশন, মরফির প্যালেট, অরগানিক মেহেদী ওদের কৈশোর বিনোদন। ইউটিউবে দেখে রসমালাইয়ের রেসিপি, মেকআপ টিউটোরিয়াল। হয়তো মনের গভীরে প্রেম প্রেম পায়। প্রথায় বাধ্য নারী হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ওরা।

কিছু বলতে গেলে আজকাল খুব অপরাধবোধ আসে। নিজেকে ‘বিয়ে’ ‘বউ’ প্রথাবাদী নারীর বিজ্ঞাপন মনে হয়। আমরা প্রত্যেকে একেকটা বিজ্ঞাপন। যা করছি তা না করতে পরামর্শ দিই। কন্যা শিশুর স্পোর্টস এক্টিভিটির জন্য কোনো প্রিভিলেজড এরিয়া করে দিই না। তাদের ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য কোনো আলাদা পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে পারি না। তারা যে যার ওয়ান বিএইচকে অথবা থ্রি বিএইচকের ফ্ল্যাটে বন্দি। আগে চামড়া সাদা হলেই যেটা যোগ্যতা ছিলো ‘বিয়ে চাকরানী’র জন্য সেখানে এখন শিক্ষিতদের কদর বেশি তাই ওরা পড়ে। ওরা রসমালাই শেখে, ওরা মেকআপ দেখে, ওরা সাজে বড় বড় চুল রাখে। অথচ ওরা বুঝতে পারছে না এসব ভবিষ্যতের ইন্স্যুরেন্স না। আমাদের পূর্বজ নারীর কাজের কম্পেনসেশন আমরা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের জন্য তাদের জীবন যাবে কম্পেনসেট করতে করতে। লেখক: সম্পাদক, উইম্যানভয়েসবিডি.কম