প্রকাশিত: Mon, May 8, 2023 8:07 AM আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 2:02 PM
সুন্দরের কোনো কাল নেই, স্থান নেই
আহসান হাবিব : [১] সুন্দরের প্রতি আমার প্রবল পক্ষপাত, বিশেষত সুন্দরী নারীদের প্রতি। তাই আমি দেখতে পাই জীবনে আমি যে কজন নারীর প্রেমে পড়েছি, তারা সকলেই এক একজন অনিন্দ্যসুন্দরী। কেন আমার এই পক্ষপাত? সম্ভবত আমি সুন্দর নই বলে। ছোটবেলা থেকেই আমার ধারণা আমি সুন্দর নই। যত বড় হয়েছি, এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে। সৌন্দর্য কি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, তখন থেকে আরও পোক্ত হয়েছে এই ধারণা। আমি নিজে সুন্দর নই বলে কোনো সুন্দরী নারীকে প্রেমের কথা বলার সাহস হতো না। ফলে অসংখ্য সুন্দরী নারীর প্রেমে পড়া সত্ত্বেও বলা হয়ে হয়ে উঠেনি। তিরিশের কোঠায় এসে একদিন একজনকে সাহস করে বলে ফেলি। আমি সফল হই। ধীরে ধীরে আমি সাহস সঞ্চয় করতে থাকি এবং এরপরে আরও কয়েকজন নারীর প্রেমে পড়ি। বলাবাহুল্য, তারা সকলেই অসম্ভব সুন্দরী। এই সৌন্দর্য শুধু শারীরিক নয়, মননে ও চিন্তায়ও।
[২] অসুন্দরের প্রতি আমার প্রবল বিতৃষ্ণা। চিন্তার দিক থেকে যারা প্রতিবন্ধী, অবিকশিত, তাদের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। বরং তাদের আমি বিনাশ চাই। এই বিনাশ শারীরিক নয়, চিন্তাপ্রসূত। চিন্তার দিক থেকে যদি একটি সমাজ পিছিয়ে থাকে, দার্শনিক দারিদ্রে ভোগে, তাহলে তার বিকাশ হয় মন্থর। কখনো কখনো পিছিয়ে পড়ে। লক্ষ্য করি আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ বাস করে অতীতে এবং একটি কাল্পনিক ভবিষ্যতে। তাদের বর্তমান বলে কিছু নেই। ফলে যারা বর্তমানে বাস করে, বাস করে যৌক্তিক ভবিষ্যতের ধারণায়, তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ফলে পশ্চাদপদতাই হয় এই সমাজের একমাত্র দিক। আমরা যে অগ্রগতি দেখি তা চিন্তার নয়, প্রযুক্তির। এই প্রযুক্তির সবটুকু ধার করা। এই ধার করা জিনিস নিয়ে শারীরিকভাবে বাঁচে, কিন্তু মানসিকভাবে থাকে শত শত বছরে পেছনে।
এরা নিজেদের চিন্তায় বাঁচে না, বাঁচে অপরের চিন্তায়। নিজে কিছুই ভাবে না। অন্য যা বলে গেছে, যে অনুশাসন চাপিয়ে দিয়ে গেছে, যে প্রথা বানিয়ে গেছে, এরা সেসব আঁকড়ে বাঁচে। তাদের সব সুখ দঃখের অনুভব অন্যের। তারা শুধু অভিনয় করে। তারা সুন্দর থেকে কোটি মাইল দূরে। বরং এরা সুন্দরের বিরোধী। এরা সুন্দর দেখলেই তেড়ে আসে। এদের মগজ এক একটা ভাগাড়। [৩] আমি বাঁচি বর্তমানে। আর অতীতের যা কিছু সুন্দর তা নিয়ে। সুন্দরের কোনো কাল নেই, স্থান নেই। কাল্পনিক ভবিষ্যতে একফোঁটা আস্থা নেই। যা কিছু অনুভব করি আমার ইন্দ্রিয় দিয়ে, তাই নিয়ে আমার বসবাস। যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়, তা পরিতাজ্য। লেখক : ঔপন্যাসিক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
