মাসুদ রানা : বর্তমান বিশ্ব-পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উচিত আধুনিক মানবিক, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও সামরিক শিক্ষায় সমগ্র জাতিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে শিক্ষিত ও দক্ষ করে তোলা এবং এ-দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বদেশে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। বাঙালীর উচিত নিজের জনসম্পদকে বোঝা না মনে করে এ্যাসেট হিসবে গণ্য করে এর দক্ষতা বাড়িয়ে বিশ্বের সে-সব দেশে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে পাঠানো যেখান জন্মহার নিম্নমুখী হওয়ার কারণে তারা দক্ষজনশক্তিকে স্বাগত জানায়। আমি মনে করি, বিশ্বজুরে আর্থিক সঙ্গতিপূর্ণ দেশপ্রেমিক বাঙালীদের উচিত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্বমানের স্কুল প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে একটি নতুন শিক্ষা আন্দোলন গড়ে তুলতে সহায়তা করা। যদিও এ-শিক্ষা হবে কম্প্রিহেনসিভ, তবুও আমি আর্টিফিশিয়্যাল ইণ্টেলিজেন্স-সহ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ-শিক্ষা আন্দোলনকে ‘বিজ্ঞান শিক্ষা আন্দোলন’ নাম দিয়ে শুরু করার প্রস্তাব করবো। 

বাঙালী একটি অভিন্ন ভাষাজনজাতি হওয়ার কারণে এর মধ্যে যে-বস্তুগত সমসত্ত্বতা আছে, তাতে এ-জাতিকে যে-কোনো ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ও মুহূর্তে সহজেই সম্মিলিত ও সমন্বিত করা সহজ, যদি তাদের মধ্যে অভিন্ন আত্মপরিচয় জাগ্রত, সম-স্বার্থবোধ বিকশিত, অর্জনযোগ্য লক্ষ্য স্থির ও যথোপযুক্ত কর্মসূচি হাজির করা যায়। এটি আমরা ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সালে বাঙালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ করেছি। আমি প্রস্তাব করছি, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘স্কুল অফ সাইয়িন্স এ্যাণ্ড টেকনলজি’ গড়ে তোলা হোক। ০৭/০৭/২০২৩। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড।