প্রকাশিত: Sun, Jul 9, 2023 3:17 PM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 11:29 AM

ভোটকক্ষে ঢোকার ঠিক আগে পেছন থেকে এক বন্ধু রসিকতা করে বললো, দোস্ত ভোট কয়টা দিবা!

সালেহ বিপ্লব : ছোটোবেলা থেকেই দেখছি, আমাদের দেশে ভোট মানে উৎসব। সংসদ নির্বাচন তো মহোৎসব। সরকারি ছুটি থাকে। বাসাবাড়িতে ভালোমন্দ রান্না হয়। তো মনে করেন, এমন এক উৎসবের দিনে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। রান্নাঘর থেকে সুঘ্রাণ ভেসে আসছে। রুটি দিয়ে খাবো বলে রাতে রান্না করা গরুর মাংস দিয়ে গেলেন গিন্নি। আমি খাবার ভুলে তার দিকে চেয়ে রইলাম। চুলোর পাশে থেকে এসেছে, নাকে ও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। পনি টেল করে বাাঁধা চুলের কয়েক গাছি অবাধ্য হয়ে কপালে এসে পড়েছে। নীল-সাদা ফুল আঁকা গোলাপী শাড়ির আঁচল কোমরে প্যাঁচানো। আহা মরি। রান্নাঘরের দিকে তার চলে যাওয়া দেখতে দেখতে প্লেটে না তাকিয়েই রুটিতে মাংস নিলাম। মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টের পেলাম, ঘটনা ঘটে গেছে। আস্ত এলাচ পড়েছে দাঁতের নিচে। 

যথারীতি মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ হলো। কিন্তু ঘরে রাগ ঝাড়ার কোনো উপায় নেই। রাগ লুকিয়ে রেখে দিব্যি হাসিমুখে বের হলাম বাসা থেকে। ভোট দিতে গেলাম। তো মনে করে নিন, মেজাজ খারাপ নিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম। ভোটকক্ষে ঢোকার ঠিক আগে পেছন থেকে এক বন্ধু রসিকতা করে বললো, দোস্ত ভোট কয়টা দিবা? ব্যস, পেয়ে গেলাম রাগ ঝাড়ার সুযোগ। গলার সমস্ত জোর দিয়ে চেঁচামেচি শুরু করলাম। আমাদের বন্ধুরা দু’ভাগ হয়ে দু’পক্ষ নিলো। পুলিশের বাঁশি, আমাদের চেঁচামেচি মিলে একটা যা-তা অবস্থা। তো মনে করেন, প্রিসাইডিং অফিসার এতো ঝামেলা দেখে কয়েক মিনিটের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখলেন। 

এবার আমার অবস্থা খারাপ! সবাই বলতে লাগলো, তোমার ওপর তো এখন স্যাংশন আসবে। তুমি শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে বাধা দিয়েছো। আবার মেজাজ খারাপ হলো। আমার কী দোষ? আমার দাঁতের নিচে আস্ত এলাচ পড়লো বলেই না আমার মেজাজ বিগড়েছে। তাহলে আমাকে কেনো স্যাংশন দেবে? স্যাংশন দেওয়া উচিত তাদের বিরুদ্ধে, যারা রান্নায় আস্ত এলাচ ব্যবহার করে। নাকি ভুল বললাম? লেখক: সমন্বয়ক নির্বাহী সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়