প্রকাশিত: Thu, Jul 13, 2023 3:26 PM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 1:17 PM

সবর্জনের সুখ, স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করতেই আওয়ামী লীগের সকল লড়াই

রবিউল আলম : বাঙালি জাতির সুখের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজের জীবনটা বাজি ধরেছেন। এ দেশের মানুষ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছে। সুখে আছে। এই সুখের স্থায়িত্বের জন্য নৌকায় ভোট দিতে হবে ২০২৪ সালে। আমেরিকার তাঁবেদারির গণতন্ত্রের চাইতে বাঙালির মন জয় করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য। সফলতা ও ব্যর্থতার বিচারের ভার জনগণের হলে, পশ্চিমাদের তাঁবেদারি সয্য করতে হবে কেন? শেখের বেটির বিশ^াসের দরজা খুলেছে, আমেরিকার ধমকের জবাব ধমকের মাধ্যমেই দিতে হয়েছে। এক ধমকে একশ বছরের জ্বালানি ইউরেনিয়াম এখন বাংলাদেশে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল হওয়ার পথে। বাংলাদেশের আণবিকশক্তি অর্জনের পেছনের গল্প, ভারত রাশিয়ার যৌথ অবদান, ১৯৭১ সালের মার্কিন সামরাজ্যবাদের হুমকি-ধামকিকে উপেক্ষা করে সপ্তম নৌ-বহর বঙ্গোপসাগরে আটকে দিয়েছিলো। 


বাঙালির প্রেম থেকে যারা মুক্ত হতে পারেনি, মুক্ত হতে দিচ্ছেন না শেখ হাসিনা। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে মীরজাফরের তালিকা ফিরিয়ে দিয়েছিলো। ফিরে আসা, ফিরে দেখা এতোটা সহজ ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের মাধ্যমে বিচারহীনতা মুক্ত হয়েছে। পুঁজিবাদের কবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ। অনেকটা রাজনৈতিক চড়াই-উৎরাই পেরুতে হচ্ছে। শেখের বেটির এককথা, জীবন একটাই, দেশ ও জাতির জন্য। বাবার জীবনটা উৎসর্গ করেছেন। আমার জীবনটা যদি কোনো কাজে লাগে। বিশ^রাজনীতির জন্য কোনো পক্ষ হতে পারবো না, বাঙালি জাতির স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে। ইউক্রেনের জেলেনস্কি হতে পারবো না, দেশটাকে যুদ্ধ থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে। আমি যুদ্ধ চাই না। বিপজ্জনক পররাষ্ট্রনীতিতে আমরা নেই। কিছু পেতে হলে, কিছু তো কষ্ট সইতে হবে। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর, একাধিক মেগাপ্রকল্প জাতির সামনে। 


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অন্যতম, চট্টগ্রাম কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত সম্প্রসারণ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোদমে, রাশিয়ার অর্থে সার-প্রকল্প, গ্যাসের অনুসন্ধান। সৌদি আরবের অর্থের জ্বালানির উপরে বিনিয়োগ। এয়ারপোর্টে থেকে চিটাগং রোডের এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হবে। ভাঙা থেকে পদ্মা সেতু রেল কমলাপুরে। নারায়নগঞ্জের রেল নতুন রূপে। এতো সব আয়ের টাকায় ব্রিকসের মুদ্রার রূপান্তর। ডলার মুক্ত বিনিময়ের ইতিহাস রচনার করবে বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির জন্য পঞ্চ দুয়ার খুলে দেওয়াতে, শেখ হাসিনার জীবনের ওপর অনেক ঝুঁকি, হামলার আশঙ্কা আছে। ইতোমধ্যে ২১ বার হামলা হয়েছে, গণতন্ত্র দেখার জন্য নয়। মার্কিনিদের কু-মতলব হাসিল করার জন্য। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিরোধ করার জন্য। নানা ছলচাতুরী বিফল হওয়ার পরে, গণতন্ত্র ও মানবতার দোহাই দিয়ে, বাংলাদেশকে জিম্মি করার কৌশল আবিষ্কার করেছে, ভিসা নীতির মাধ্যমে। শত বছরের জ্বালানি নীতি পূরণে, ভিসানীতিকে উপেক্ষা করতেই হবে। 


শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতন্ত্রের মন্ত্র দেশ ও জনগণ জন্য উম্মুক্ত। জনগণ চাইলে আছি, না চাইলেনি। কোনো পরাশক্তির ধমকের কাছে শেখের বেটির মাথানত করতে পারে না। শেখ হাসিনার মাথার সঙ্গে বিশে^র তিরিশ কোটি বাঙালি মাথা জড়িত। বাঙালি বীরের জাতি, উপাধির কী হবে? ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ের একটি মানচিত্র শকুনের কাছে স্থানান্তর করতে পারবো না, শুধু ক্ষমতার জন্য। আমার দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতাকারীদের জন্য জীবনটা তুচ্ছ মনে হয়। বাবা-মা, ভাইদের হারিয়ে আমি নিঃস্ব, আপনাদের সুখ-দুঃখে সঙ্গী হয়েবেঁচে আছি আপনাদের মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই। জীবিত অথবা মৃত্য, হায়াতের মালিক আল্লাহ। পরাশক্তিকে বাঙালির স্বাধীনতায় আঘাত করতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।’ একটু অপেক্ষা করুন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে, সকল অপশক্তির জবাব দেওয়া হবে নৌকার ভোটের মাধ্যমে।


নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাঙালির চাইতে বিদেশি পুঁজিপতিরা আতঙ্কে। আমেরিকা কানাডা, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুঁজি বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পশ্চিমারা ভয়ে আছে। আমাদের জমাকৃত অর্থের চেয়ে তাদের বিনিয়োগ বেশি হওয়ার কারণে। আইএমএফ, বিশ^ব্যাংকের অর্থের হিসেব মিলাতে হবে। বাইডেন বলতে শেষ কথা হতে পারে না। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সহজ হবে না, বাঙালির প্রাণ থাকতে। তুরস্কের    এরদোয়ানের লাল সালাম নিতে হয়েছে। শেখ হাসিনার সালামের অপেক্ষা করুন। 

লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি