
প্রকাশিত: Wed, Dec 14, 2022 4:35 AM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 12:53 PM
দূর হ, মুনাফাখোরের দল!
আহসান হাবিব
ধর্মান্ধরা ছাড়াও একদল অর্থনীতিবাদী কেজো লোক আছে পৃথিবীতে যারা খেলার চেয়ে কী করে উৎপাদন বৃদ্ধি হয়, উদ্বৃত্তমূল্য আত্মসাত করা যায়, তার দিকেই নজর বেশি। এই দুই প্রান্তিক মানুষেরা আনন্দ এবং সৌন্দর্যবিরোধী। বাংলাদেশের মানুষ খেলাপ্রিয় জাতি। ফুটবল বিশ্বকাপ চলছে, বাংলাদেশের তাতে অংশগ্রহণ কল্পনাতেও সম্ভব নয়, তবু তার প্রতি আনন্দের যেন জোয়ার বইছে, এমনকি অংশগ্রহণকারী দেশের মানুষের চেয়েও উন্মাদনা এখানে বেশি। এর চেয়ে আনন্দের কিছু হয় না। অথচ কিছু মানুষ দেশ থেকে বিদেশ থেকে টিপ্পনী কাটছে। বলছে, ঘরে নাই খাবার, যতোসব অকাজের বাহার। আমি বলি এই অকাজই সেরা কাজ। যারা সবসময় কাজের কথা বলে তারা পুঁজিবাদের দালাল, কী করে মুনাফা লুটে জুয়ায় মত্ত থাকা যায়, কী করে প্রকৃতিকে ধ্বংস করা যায়, তাদের লোলুপ দৃষ্টি সেদিকে। নির্মল খেলার দিকে তারা তাকাতে পারে না। আবার যদিওবা তাকায়, তাকায় তারা কী করে খেলা থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া যায়। এরা ঘৃণ্য, বর্জনীয়।
আমেরিকা জার্মানির মানুষের উদাহরণ টেনে এসব কেজো লোক বাংলাদেশের মানুষের এই খেলাপ্রিয়তাকে ইনসাল্ট করে। কী করে এই সময় এই দেশের লোকগুলো? হয় কারখানায় কিংবা খনিজকূপে শ্রমজীবী মানুষদের রক্তকে জল করার কাজে মত্ত থাকে, কিংবা কোনো পানশালায় মাতলামি করে। অথচ সেই সময় বাংলাদেশের মানুষ গোল গোল বলে চিৎকার করে, আনন্দ বেদনায় উত্তেজিত থাকে। দলের হয়ে একে অপরের প্রতি এক নির্দোষ খেলায় মেতে ওঠে। হ্যাঁ, কিছু অবিকশিত মানুষ কিছু অঘটন ঘটায়। তবে সেসব কোনো কারণ ছাড়াই কাউকে গুলি করে হত্যা করার মতো ঘৃণ্য অপরাধ নয়। যে রাষ্ট্র খেলা উপভোগের পরিবর্তে তার জনগণকে বিবিধ কারখানার ঘুলঘুলিতে নিয়োগ রাখে, তারা মনুষ্য পদবাচ্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আর যারা তাদের অর্থনীতির বাড়বাড়ন্ত দেখিয়ে অবজ্ঞা করে, তারা এক একটা নরকীট, মুনাফাখোর, ভাড়াখাটা দালাল। আমরা খেলা দেখবো, হাসবো, নাচবো, গাইবো- তাতে তোদের কি নরাধম? তোরা টাকায় মুখ গুঁজে দে, আমরা মেসি, রোনালদো, নেইমার, এমবাপ্পের পায়ের যাদুর সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে হাসিকান্নায় মেতে থাকবো। দূর হ, মুনাফাখোরের দল। লেখক: ঔপন্যাসিক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
