
প্রকাশিত: Mon, Dec 19, 2022 5:23 AM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 10:43 AM
চ্যাম্পয়িন কাতার, বিশ্ব চ্যাম্পয়িন বাংলাদশে!
ভূঁইয়া আশকি রহমান
[২] শরিোনামে বস্মিতি হয়ছেনে! আয়োজক হলওে দশেটরি ফুটবল দল তো বশি^কাপরে প্রথম রাউন্ড থকেইে বদিায় নয়িছেলিো। তাহল?ে কাতার কীভাবে চ্যাম্পয়িন? কারণ কাতার-ই আয়োজন করছেে ইতহিাসরে সবচয়েে জমজমাট বশি^কাপ। বশি^ের জনে জনে এটা স্বীকারও করছনে। স্বয়ং ফফিা প্রসেডিন্টেও এই স্বীকৃতি দয়িছেনে। জয়িান্নি ইনফান্তনিো বলনে, ‘এবার আমরা সব মলিয়িে (টলেভিশিনসহ) দুইশো কোটরি বশেি র্দশক পয়েছে,ি যা সত্যইি অবশি^াস্য। দোহার রাস্তায় ২৫ লাখ মানুষ এবং স্টডেয়িামে প্রতদিনি লাখো মানুষ, সবাই একসঙ্গে উল্লাস করছ।ে তাদরে দলকে সর্মথন করছ।ে একটি র্দুদান্ত পরবিশে, অবশ্বিাস্য উত্তজেনা ও বস্মিয়’। র্অথ খরচে তো কাতাররে কাছাকাছওি নইে কউে। নরিাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় টক্কো দয়িে অতীতরে সব আয়োজন থকেে এগয়িে গছেে তারা। এজন্য কাতার ধন্যবাদ পতেইে পার।ে একইসঙ্গে আয়োজক হসিবেে নজিদেরে চ্যাম্পয়িন দাবি করতইে পারে দশেট!ি যদওি বশি^কাপ আয়োজনরে আগে স্টডেয়িাম নর্মিাণ ও অন্যান্য কাজে বপিুল পরমিাণ শ্রমকি মৃত্যুর অভযিোগ ছলিো। হয়তো এর বাস্তবতাও আছ।ে তবুও বশি^কাপ আয়োজনে ব্যাপক সাফল্যই দখেয়িছেে দশেট।ি
[৩] বাংলাদশে বশি^কাপ ফুটবল খলেে না। বশি^কাপ খলেবে এমন স্বপ্ন স্বপ্নওে দখেতে ভয় পায় মানুষ! কনেনা বাংলাদশে ফুটবল খলেলওে র্যাংকংিয়ে সীমানার শষে প্রান্তে অবস্থান করছ।ে কবে আমরা ফুটবল বশি^কাপ খলেবোÑসৃষ্টর্কিতাই একমাত্র ভালো জাননে। কারণ আমাদরে ফুটবল ফডোরশেনরে সভাপতি বশে কয়কে বছর আগে কাতার বশি^কাপে খলোর লক্ষ্য নর্ধিারণ করলওে বাস্তব কোনো পদক্ষপে নতিে দখো যায়ন।ি ফলে ফুটবল বশি^কাপ কবেলই স্বপ্নরে ব্যাপার হয়ে দাঁড়য়িছেে এ দশেরে মানুষরে জন্য। পরকিল্পনাহীন, অদূরর্দশী নতেৃত্ব দয়িে আমরা ফুটবলে ভালো করবোÑএমন আশা এখন আর এ দশেরে র্দশকরা করনে বলে মনে হয় না। মনে আশা যদি থকেওে থাক,ে মুখ ফুটে বলার সাহসটুকুও অনকেে হারয়িে ফলেছেনে! কী হবে স্বপ্ন দখে,ে যে স্বপ্নরে পালে হাওয়া দওেয়ার কোথাও কউে নইে!
[৪] তাহলে কীভাবে বশি^চ্যাম্পয়িন হলো বাংলাদশে? বুঝতে পারছনে না? অনুমান করুন তো দখে।ি আপনার ধারণা মলিে যাব,ে নশ্চিতি! ঠকি আছ।ে আপনি চষ্টো করুন। এর আগে আসুন ধারণা নইি কীভাবে চ্যাম্পয়িন বাংলাদশে। ক্রয়িটেভিটিি অ্যান্ড ইনোভশেন বভিাগ এস্তনয়িান এন্ট্রাপ্রনেউিরশপি ইউনভর্িাসটিরি সনিয়ির লকেচারার, প্রবাসী শক্ষিক আমনিুল ইসলাম তার ফসেবুকে লখিছেনে, ‘র্আজন্টেনিার বভিন্নি টলেভিশিন চ্যানলে থকেে আপলোড দওেয়া ইউটউিব ভডিওিগুলো দখেছলিাম। আমরা বাংলাদশেরিা র্আজন্টেনিা জতোর পরে কীভাবে তাদরে পতাকা হাতে উল্লাস করছ,ি এইসব নয়িে ওরা আলোচনা করছে আর বলছ,ে ‘বাংলাদশে আসলইে আমাদরে প্রকৃত বন্ধু’ ইত্যাদ।ি তো আমি ওই সব ভডিওির কমন্টে বক্সে গয়িে ওদরে কমন্টেগুলো পড়ার চষ্টো করছে।ি কয়কেটা কমন্টেরে বাংলা করলে যা দাঁড়ায়, সটো বরং লখো যাক। একজন লখিছেনে, ‘আমাদরে এই দলরে উচতি হবে ফরেত আসার সময় বাংলাদশেরে সঙ্গে ফ্রন্ডেলি ম্যাচ খলেে আসা। এটা ওদরে প্রাপ্য’। অন্য একজন লখিছেনে, ‘আমি বাংলাদশেে গয়িছেলিাম। সখোনকার হোটলেরে মানুষজন যখন জানতে পরেছেে আমি র্আজন্টেনিা থকেে এসছে,ি ওরা আমার হোটলে রুম আপগ্রডে করে দয়িছে।ে ওরা সত্যইি আমাদরে প্রকৃত বন্ধু’। এমন আরও নানান কমন্টে আছ।ে আরকেজন তো লখিছে,ে ‘আমরা যদি চ্যাম্পয়িন হইÑ সরকার ও এই দলটরি উচতি হব,ে ট্রফি নয়িে যনে ওরা বাংলাদশেে যায়।’
[৫] কী পলেনে তো উত্তর! ফুটবল সর্মথক হসিবেে এ দশেরে মানুষ এক নম্বর।ে অনলাইন নউিজর্পোটাল ঢাকা পোস্ট লখিছে,ে র্আজন্টেনিার জনসংখ্যা চার কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ৩৮১। আর আমাদরে সতরে কোটি মানুষরে দশে। র্অধকেরেও বশেি র্আজন্টেনিা ও মসে-িম্যারাডোনাদরে সর্মথক। এ দশেরে জনগোষ্ঠীর বপিুলসংখ্যক ব্রাজলিকওে সর্মথন কর।ে কাতার বশি^কাপরে মাধ্যমে এ দশেরে ফুটবল র্দশকরো নজিদেরে বশি^ের কাছে পৗেঁছাতে পরেছেনে। একইসঙ্গে এটাও বলতে পরেছেনেÑ নঃিশর্^াথ ভালোবাসায় এগয়িে আমরাই। সুদমুক্ত ভালোবাসা কাকে বলে বশি^কে দখেয়িে দয়িছেি আমরা। বর্তিকমুক্ত এই ভালোবাসার প্রতদিান ইতোমধ্যইে এ দশেরে মানুষ পতেে শুরু করছে।ে আমাদরে র্শতহীন ভালোবাসার ডাকে বপিুলভাবে সাড়া দয়িছেে ম্যারাডোনা-মসেরি র্আজন্টেনিা। সে দশেরে মানুষ এখন আমাদরে ক্রকিটে দলকে সর্মথন দয়ে। বাংলাদশে, বাংলাদশে বলে গলা ফাটায়। আওয়াজ তুল।ে বাংলাদশেরে ক্রকিটে জয়ে অভনিন্দন জানায়। লাল-সবুজ পতাকা তাদরে হাতওে শোভা পায় এখন। আমাদরে বজিয় দবিসও উদ্যাপন করে এখন র্আজন্টোইনরা। এটা তো সম্ভব হয়ছেে এ দশেরে চ্যাম্পয়িন র্দশকদরে কারণইে। ব্রাজলিও নশ্চিয়ই এই ভালোবাসার খবর জান।ে ফফিা জান।ে সবচয়েে বড় কথাÑবহু আগে থকেে ফুটবল সর্মথনে চ্যাম্পয়িন পজশিনে থাকলওে এতোদনি বশি^কে আমরা জানাতে পারনি,ি যা কাতার বশি^কাপে এসে সম্ভব হয়ছে।ে দশেে দশেে আমাদরে র্দশকদরে নয়িে রপর্িোট হচ্ছ।ে টলেভিশিন কংিবা পত্রকিা, ফসেবুক অথবা অনলাইন পত্রকিা, ইউটউিব, অফলাইনÑ সবখানইে বাংলাদশে। পুরো বশি^কাপ জুড়ইে ছলিো। খুব ভালোভাবইে ছলিো কাতার বশি^কাপে বাংলাদশে নামট।ি এটা আমাদরে জন্য অনকে বড় জয়। বশি^ জানুকÑবাংলাদশেক।ে লাল-সবুজরে বাংলাদশে ছড়য়িে যাক বশি^ের সবখান।ে সব জনরে মনে মন,ে প্রাণে প্রাণ।ে
[৬] যকেোনো ক্রীড়া আসর আনন্দ-বদেনার হয়। কারও হাস,ি কারও কারও কান্নার ইতহিাস লখো হয়। তবে এই হাস-িকান্নার মধ্যে খলোধুলা মানুষে মানুষ,ে দশেে দশেে ভ্রাতৃত্ব তরৈতিে ব্যাপকভাবে ভূমকিা রাখ।ে বশিষে করে ফুটবলকে বশি^ের সবচয়েে জনপ্রয়ি খলো হসিবেে অবহতি করা হয়। খলোটি সব বয়সরে মানুষ সহজে বোঝ।ে ফলে বশি^ে শতকোটি র্দশক আছে ফুটবল খলোর। বশি^কাপ ফুটবল হলে তো কথাই নইে। বশি^ বুঁদ হয়ে থাকে প্রয়ি খলেোয়াড় ও দশেরে নপৈূণ্য।ে কখনো আনন্দতি হয়, কখনো কখনো মন খারাপরে দনি আস।ে জয়-পরাজয়ে এগয়িে যতেে থাকে বশি^কাপ ফাইনালে শষে হয় চূড়ান্ত উত্তজেনা! কাতার বশি^কাপও শষে হয়ছে।ে বশি^কাপ ফুটবল র্দশকদরে মাতয়িে রখেছেলিো একমাস। ৩২ দলরে লাখ লাখ ভক্ত-সর্মথকরা মাতয়িে রখেছেলিো গ্যালার,ি শতকোটি সর্মথক গ্যালাররি বাইরে থকেে সর্মথন দয়িে গছে।ে মসে,ি নইেমার, রোনালদো কংিবা এমবাপ্পরো দখেয়িছেনে তাদরে পায়রে জাদু। বশিষে করে ফুটবল জাদুকর, বশি^সরো লওিনলে মসেি ছলিনে সবার আগ,ে সবার থকেে এগয়িে ছলিনে জাদুকরী পারফরমন্সে দয়ি।ে বশি^ের ফুটবল প্রমেরিা মনে রাখবÑেফুটবলরে ক্ষুদে জাদুকরক।ে যুগ যুগ ধর।ে শতাব্দীর পর শতাব্দী। ফুটবলরে জয় হোক, মানুষে মানুষে সৌর্হাদ্য বাড়ুক। ভ্রাতৃত্বরে বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। বাংলাদশে এগয়িে যাক। জয় বাংলা। আমার সোনার বাংলাদশে, আমি তোমায় ভালোবাস।ি লখেক : সাংবাদকি
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
