
প্রকাশিত: Mon, Dec 19, 2022 5:24 AM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 12:59 PM
র্ধম, খলোধুলা কংিবা সংগীত
শশিরি ভট্টার্চায্য
সব প্রধান র্ধমই গান-বাজনা-খলোধুলা বরিোধী। চাণক্যরে র্অথশাস্ত্র, রামায়ণে অভনিতো-খলেোয়াড় ইত্যাদি পশোকে সুনজরে দখো হয়ন।ি হন্দিু র্স্বগে নাট্যপরচিালনার দায়ত্বি ভারত নামে এক মুণরি হাতে থাকলওে নাচাগানা-অভনিয় করতনে র্স্বগনটী বা অপ্সরারা। প্ল্যাটো তাঁর আর্দশ জাতরিাষ্ট্র থকেে কবদিরে বতিাড়তি করার পক্ষে ছলিনে। জম-িশ্রম-মূলধন-সংগঠন উৎপাদনরে এই চারটি উপকরণরে মধ্যে নয়িন্ত্রণ করতে হয় শুধু দ্বতিীয় উপকরণটকি।ে জমি আর মূলধন তো মানুষ নয়, আর সংগঠন বা ম্যানজেমন্টে তো নজিদেরে হাতইে। সমাজরে ‘ওরা এগারো জন’ চায়, মানুষ বনিাপ্রশ্নে একটানা পরশ্রিম করে যাক। এর জন্য দরকার একটি সস্টিমে যার নাম: ‘র্ধম’।
প্রতটিি র্ধমই এককেটি মথ্যিা রূপকথা, যাতে একবার বশ্বিাস করয়িে ফলেতে পারলে সইে বশ্বিাস প্রজন্মান্তরে জাগরুক থাক।ে নজি নজি মথ্যিাকে জতোবার জন্য জনগণই একে অপরকে আক্রমণ কর,ে ওরা এগারো জনরে কুটোটি নাড়তে হয় না। ‘লাহুয়া আল হাদতি’ি কোরানরে সুরা লোকমানরে ৩১নং আয়াতরে এই আরবি কথাটার র্অথ হচ্ছে ‘ফালতু কথার্বাতা’। ইসলামে ফালতু, র্অথহীন কথার্বাতা নষিদ্ধি। ‘তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার’- এই ধরনরে গানে কোনো নারী বা পুরুষরে সঙ্গ পাবার যে আকুত,ি এগুলো ফালতু কথা ছাড়া আর কী? গানবাজনার ফালতু কথার মতো খলোধুলা-অভনিয়, এগুলো ফালতু কাজ। একটা বলকে ২২ জনে লাথি মারা কি ফালতু একটা কাজ নয়? রঙ্গমঞ্চে মথ্যিা ভূমকিায় অভনিয় করা কি সরিয়িাস কছিু? মানুষ এমন ফালতু কথার্বাতা পছন্দ করলওে র্ধমরে এসব পছন্দ নয়, কারণ মনোযোগ দবোর সময় যদি আপনার থাকইে, তবে সইে মনোযোগ দবেনে আপনি উৎপাদনে কংিবা ঈশ্বরভজন।ে কোনো মানুষ বা মথ্যিা কোনো কছিুর প্রতি আপনি মনোযোগী হবনে কনে?
র্ধম কংিবা র্ধমরে প্রকৃত নয়িন্ত্রক ওরা এগারো জনরে খলোধুলা, সঙ্গীত ইত্যাদি পছন্দ না করার আরও কারণ আছ।ে পর্বতগাত্রে খোদাই করা সম্রাট অশোকরে একটি বাণীতে তনিজনরে বশেি লোক জমায়তে নষিদ্ধি করা হয়ছেলি। সামরকি আইন কংিবা ১৪৪ ধারা জারি হলওে গণজমায়তে নষিদ্ধি হয়ে যায়। এর কারণ, এক মাথার চাইতে একাধকি মাথা অনকে বশেি শক্তশিালী। খলোধুলা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নাটক ইত্যাদতিে জনজমায়তে হয়। মানুষ যখন অপরকে দখে,ে অপররে কথা শোন,ে তখন সে নজিকে,ে নজিরে ধ্যান-ধারণাকে অপররে সঙ্গ,ে অপররে কথার সঙ্গে মলিয়িে নয়ে। মলোনোর পরে মানুষ আর এক থাকে না, কছিুটা হলওে সে বদলে যায়। শ্রমকিরে এই বদলে যাওয়াটা ওরা এগারো জন কংিবা তাদরে হাতয়িার র্ধমরে একবোরইে না-পসন্দ। ২০২২ বশ্বিকাপে কাতার সচতেনভাবে চষ্টো করছেে ইসলাম প্রচার করত।ে প্রচার যতোটা না হয়ছে,ে আমার মত,ে কাতাররে নজিস্ব জীবনধারা প্রশ্নরে মুখে পড়ছেে তার চয়েে অনকে বশে।ি কাতাররে লোকজন নজিরে চোখে দখেছে,ে অকাতার,ি অমুসলমিরো কমেন হয়, কমেন পোশাক তাঁরা পর।ে এর একটা অভঘিাত কাতাররে জন-মানসে অবশ্যই পড়ব।ে ক্রুসডে যুদ্ধ করতে এসে ইউরোপ বদলে গয়িছেলি, আমরা যনে ভুলে না যাই।
কাতাররে শাসকরো এই পরর্বিতন সচতেনভাবে চান বা না চান, এই পরর্বিতন হতে বাধ্য। বশ্বিকাপরে পর কাতার আর এক থাকবে না, কছিুটা হলওে সে বদলে যাব।ে মরক্কোর খলেোয়াড়রো মাঠে জয় পলেে সজেদা দয়িছেে বট,ে কন্তিু আমরা এও দখেছে,ি তাঁরা হজিাবী মায়রে সঙ্গে নাচে এবং তাদরে বৌয়রো বক্ষবদিারী পোশাক পর-ে যা (মুজতবা আলীর ভাষায়, বকিনিরি মতো) জাম্বুরার যতোটা না ঢাক,ে তার চয়েে বশেি দখোয়। মরক্কো কংিবা সৌদি খলেোয়াড়রো হাফপ্যান্ট পরে খলেতে বাধ্য হয়ছে,ে যা কোনো বচিারইে ইসলাম-সম্মত বলা যাবে না। খলো দখেতে আসা লক্ষ লক্ষ মুসলমান মহলিা র্দশকও ঠকি মুমনি-সুলভ পোশাক পরে ছলিো না। অনকেইে বুকখোলা ট-ির্শাট পরা, চুল খোলা, তবে ভাগ্য ভালো, কাতার বাংলাদশেরে নরসংিদীতে অবস্থতি নয়।
প্রমলিা ফুটবলে হন্দিু মুসলমান নর্বিশিষেে খলেোয়াড়রো উরু প্রর্দশনে বাধ্য। হন্দিুর্ধমওে এটা অপরাধ। দ্রৌপদীকে উরু প্রর্দশনরে অপরাধে মহাভারতরে প্রধান খলনায়ক র্দুযােধনরে উরুভঙ্গ করছেলি ভীম। হন্দিু ও ইসলাম র্ধমরে অনকে রীত-িরওেয়াজ সাংর্ঘষকি। যকেোনো দুই র্ধমরে ক্ষত্রেে এটা সত্য। ফুটবল বা ক্রকিটে নজিরোই এককেটি র্ধম, এরও নজিস্ব নয়িম আছ,ে সগেুলো অন্য খলো কংিবা র্ধমরে সঙ্গে সাংর্ঘষকি না হবার কোনো কারণ নইে। এক র্ধম যমেন অন্য র্ধমকে সহ্য করতে পারে না, ঠকি তমেনভিাবে কোনো র্ধমই খলোধুলা, সঙ্গীত, অভনিয় ইত্যাদি সহ্য করতে পারে না। ওরা এগারো জন আপনাকে খলেত,ে গাইত,ে অভনিয় করতে দচ্ছি,ে কারণ এগুলোও ওরা এগারো জনরে হাতয়িার, নতুন হাতয়িার। খলো, সঙ্গীত কংিবা অভনিয় দয়িওে শ্রমকিদরে মন-মানসকিতা নয়িন্ত্রণ করা যতেে পার
।ে ওরা এগারো জন যখন হৃদয়ঙ্গম করবে যে খলোধুলা বা সঙ্গীত হাতয়িার হসিবেে র্ধমরে চয়েে বশেি র্কাযকর, সে বনিা দ্বধিায় র্ধমকে ছুঁড়ে ফলেে দবে।ে ইসরাইলরে একটি চুটকি মনে পড়ছ।ে ছাদে শুকাতে দওেয়া বক্ষবন্ধনী উড়ে এসে পড়ছেে এক চরিকুমার টকেো ইহুদী পথকিরে মাথায়। ইহুদী ডবল টুপটিি মাথা থকেে খুলে নয়িে বললো: ‘ইয়া মাবুদ, সারা জীবন শুধু খোসাটাই দয়িে গলে,ি জাম্বুরার স্বাদ কখনও পতেে দলিি না। র্ধম, খলোধুলা কংিবা সঙ্গীত যা কছিুরই রমরমা হোক সমাজ,ে জনগণরে কপালে কন্তিু খোসাটাই থাকব,ে জাম্বুরার রস চটেে নবেে শ্রফে ওরা এগারো জন। ফসেবুক থকেে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
