ওয়াসি মাহিন : টিবি-২ ড্রোনের সংযোজন নিশ্চিতভাবে আমাদের সামরিক চাহিদা স্বল্প খরচে আরো ইফেক্টিভভাবে মেটাতে সক্ষম হবে। প্রযুক্তির উৎকর্ষে আমাদের মাথায় রাখতে হবে, ট্যাংক, সাজোয়া যান, মানুষ্য যুদ্ধজাহাজ, এমনকি সাবমেরিন ও ধীরে ধীরে যুদ্ধে কার্যকরী বা স্ট্র্যাটেজিল অস্ত্র হিসাবে মর্যাদা হারাবে। আধুনিক যুদ্ধের কৌশল, ডাইনামিকস সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভরতার দিকে যাচ্ছে। এখানে বিলিয়ন ডলারের সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান যেই লক্ষ সহজে অর্জন করতে সক্ষম সেই একি কাজ অনেক কম খরচে, মানুষ্য ঝুঁকি ছাড়া পিন পয়েন্ট একুরেসিতে ড্রোন, গাইডেড আর্টিলারি, মিসাইল দিয়ে করা সম্ভব হচ্ছে। 

সামনের দিনগুলোতে হয়ত মিসাইলকে অবসোলেট করে লেজার ভিত্তিক বা আরো আধুনিক প্রযুক্তি সামনে আসবে। ইএমপির মতো প্রযুক্তি আরো জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। বর্তমানে যুদ্ধের ধরনেও এসেছে পরিবর্তন। এখন মারামারি কাটাকাটির মাধ্যমে যতটা লক্ষ অর্জন করা যায় বা যতোটা ক্ষতিসাধন করা যায় তার থেকেও বাণিজ্য যুদ্ধ, পলিটিক্যাল যুদ্ধ বেশি কার্যকরী হয়ে উঠছে। সামগ্রিক বিবেচনায় আমাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। 

বিবিটি-২ এর উড্ডয়ন আমাদের জন্য আবেগের। এটা আমাদের কনফিডেন্সকে বাড়াবে। কিন্তু আমাদের ভাবতে হবে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভরতা নিয়ে যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে আমাদের সক্ষমতা প্রতিটা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের উচিত হবে, এডভান্স প্রযুক্তির পেছনে অর্থ খরচ করা। গবেষণা বৃদ্ধি করা, নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানো। এতে এদেশে প্রযুক্তি নির্ভর বিপ্লব ঘটানোর সুযোগ আছে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো। লেখক : ব্যাংকার