কবির য়াহমদ 

ফাইনাল খেলা ফাইনালের মতো হয়েছে। সাধারণত এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাইনাল হয় না। এবার হয়েছে। শুরুর নব্বই মিনিটের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সময় খেলা ছিলো আর্জেন্টিনার নিয়ন্ত্রণে। এরপর ফ্রান্সের ফিরে আসা, অসাধারণ। হলি পেনাল্টি এবং পেনাল্টি খেলার মোমেন্টাম বদলে দেয়। এই খেলায় দুই-দুইবার ঘটল। ম্যাচে পেনাল্টি যদিও তিনটা। মেসি বিশ্বকাপ জিতেছেন। তাকে অভিনন্দন। এমবাপ্পের মাঝে যে অন্য শক্তি সেটা তাঁর গোলগুলো না হলে বুঝার উপায় ছিলো না। গ্রিজম্যান, জিরুদ, দেম্বেলে হতাশ করেছে। তাঁরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।  এখানে তাদের ব্যর্থতার সঙ্গে আছে আর্জেন্টাইনদের সাফল্য, কারণ তাঁরা ওদের বোতলবন্দী করে রাখতে পেরেছিলো। লিওনেল স্কালোনির পরিকল্পনা দুর্দান্ত বলতেই হয়। তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তে পরিকল্পনার স্পষ্ট ছাপ।

আর্জেন্টিনার এই দলে লিওনেল মেসি ও ডি মারিয়া ছাড়া তারকা খেলোয়াড় খুব একটা নাই, কিন্তু দলটা একতাবদ্ধ এবং জয়ের জন্যে শুরু থেকেই মরিয়া ছিলো। ছিলো পেশাদারত্বের ছাপ। এটাই তাদের অভাবনীয় সাফল্যের মূল বিষয়। ফাইনালে আমি ফ্রান্সের পক্ষে ছিলাম। ফ্রান্সের হারে হতাশ হয়েছি, তবে এই হতাশায় কষ্ট বলতে যা সেটা তেমন ছিলো না। কষ্ট যা পাওয়ার সেটা আমরা মহান-পরাক্রমশালী ও বিশ্বকাপের অবিসংবাদিত সেরা দল ব্রাজিলের বিদায়ের দিনেই পেয়ে গেছি। ডিসেম্বরের ৯ তারিখ থেকেই আমাদের আরও ৪ বছরের অপেক্ষা শুরু হয়ে গেছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ ব্রাজিলের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। আর্জেন্টিনার অপেক্ষা শেষ, আমাদের শুরু, যদিও পাঁচ বিশ্বজয়ের অন্তত দুইটা বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা রয়ে গেছে ঝুলিতে। যার যতো অর্জন সে ততো বেশি চায়, তাইতো পেন্টা জয়ের পর লক্ষ্য নির্ধারিত, হেক্সা-জয়। ব্রাজিল দ্য ফাইভ স্টার দলের সমর্থকদের পক্ষ থেকে আজ রাত থেকে থ্রি স্টার পাওয়া আর্জেন্টিনা দলের সমর্থকদের আবারও অভিনন্দন। ফেসবুক থেকে