রবিউল আলম

বিদেশি উসকানি, রাজনৈতিক-শক্তি হতে পারে না। তাতে দেশ ও জাতিকে অবজ্ঞা করা হয়। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ, ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ, সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ সবইতো হলো। বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী সফল হয়েছে? নেতা-কর্মীদের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন লক্ষণীয় নয়। ১০ ডিসেম্বর থেকে বিএনপিকে খুঁজে পাচ্ছি না। সরকার চালানোর ঘোষণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গোলাপবাগের সমাবেশ সরকারকে অহিংস প্রমাণ করে দিয়েছে বিএনপি। ৭ ডিসেম্বর পুলিশের মাইরে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। ৭ মার্চের পরে অসহযোগ আন্দোলন, ২৫ মার্চের কালরাতে বাঙালি জাতির ঘুরে দাঁড়ানো, একটি আঙ্গুলের ইশারায় ৩০ লাখ জীবন দান। রক্ত, স্বাধীনতা দিতে পারে। রক্ত, মুক্ত করতে পারে। বিএনপির জন্য রক্ত দিতে চায় না কেউ। শেখ হাসিনার সুশাসন থেকে বঞ্চিত হতে চায় না এই দেশের জনগণ।

বিএনপির নেতৃত্বের অভাব, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাবে গণআন্দালনের অর্থ বুঝতে পারেননি। রাজনীতির কথা বলার আগে বাস্তবায়ন যোগ্য কিনা। বিএনপির উচিত ছিলো, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি মেনে নেওয়া অথবা নয়াপল্টনের মহাসমাবেশের ঘোষণায় অটল থাকা। কোনো নেতা-কর্মী উপস্থিত হতে না পারলেও। ঘোষণা থেকে পিছিয়ে আসা রাজনৈতিক কমান্ড হতে পারে না। গোলাপবাগের জনসভা নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার পরিবর্তে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বিদেশি উসকানি রাজনৈতিক শক্তি হতে পারে না। ইরানের শাহ, ভিয়েতনামের যুদ্ধ, ইরাক, লিবিয়া, আফগানকে রক্ষা করতে পারেনি। ইসরায়েল শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারলো না আজও।

ইউক্রেনের কপালে কী আছেÑ কেউ বলতে পারে না। বিএনপির নেতারা এখন সেই ফাঁদে। যদি মনে করেন, আমেরিকা এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেÑভুল চিন্তা। এবং দেশ ও রাজনীতির জন্য অশুভ বার্তা বলতে পারেন। বিএনপির কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা, নেতৃত্বহীনতার শূন্যতা পূরণে ব্যর্থ। জামায়াত, মৌলবাদ, খুচরো পার্টি বিএনপির নেতৃত্ব ঘুচাতে চায়। পশ্চিমারা চায় নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে। বিএনপিকে দিয়ে তবলা বাজাচ্ছে। রাজনীতির জন্য ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব, জনগণের গ্রহণযোগ্য না হলে, বিদেশনির্ভর রাজনীতি কোনোদিন স্থায়িত্ব হবে না। বিধবা নারীর দায়িত্ব নিতে চায় সবাই।

স্বামীর দায়িত্ব নিতে চায় না কেউ। বাঙালি জাতিকে নিয়ে বিদেশিরা অনেক খেলেছেন। মুক্তির বার্তা দিয়েছেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, বাস্তবায়ন করেছেন একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্ত বাঙালি তাকে পিতার আসনে বসিয়েছে। বুকে ধারণ করেছে। তারই কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের মধ্যমণি। বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে, এমন একজন শেখ হাসিনার বিকল্পের জন্য। পুলিশ পিটিয়ে, ধ্বংস করে রাজনীতি হয় না। রাজনীতির  জন্য দেশ রক্ষার সঠিক সিদ্ধান্ত চায় জনগণ। আওয়ামী লীগের সম্মেলন, বিএনপির পলায়ন থেকে এই দেশের জনগণ ভোটের সিদ্ধান্তে আসবে, ২০২৪ নির্বাচনে। পশ্চিমাদের লক্ষ্য পূরণ হলে, বিএনপি ও জেলেনস্কির জন্য অপেক্ষা করবে না, আমেরিকা। লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি