
প্রকাশিত: Mon, Apr 22, 2024 1:58 PM আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 4:37 AM
বিজ্ঞানমনস্ক হতে গিয়ে আমরা যেন নিষ্ঠুর আর ইনসেন্সিবল হয়ে যাচ্ছি
ডা. গুলজার হোসেন উজ্জল : কুষ্টিয়ার কুমারখালির একদল মুসুল্লি বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলে কান্নাকাটি করছে। দৃশ্যটি দেখে আরেকদল আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ক্রোধ, করুণা ও তাচ্ছিল্য প্রকাশ করছেন। এই তাচ্ছিল্য প্রকাশের বিষয়টা আমার ভালো লাগছে না। মানুষগুলো অসহায়। কোথাও সে চোখের পানিটি ফেলতে চায়।
কেউ তো তাকে আশা দেয় না। কোথাও তার চোখের পানির মূল্য আছেÑ এই আশ্বাসটুকুও সে পায় না। মানুষের কাঁদতে পারাটা কখনো কখনো জরুরি। একটা ংড়ঁষভঁষ ৎবহফরঃরড়হ দরকার। এই অনাবৃষ্টি ও খরার ক্ষতি যদি তার সমাজ ও রাষ্ট্র পুষিয়ে দিতে পারত মানুষগুলো এমন অসহায়ের মতো খোলা মাঠে গিয়ে হয়তো কাঁদতোনা।
এই অসহায় মানুষগুলোকে নিয়ে ট্রল করা আরেক ধরনের নিষ্ঠুরতা। একটা করুণ সমাজে আমরা বাস করি। যেখানে রাষ্ট্র আমাদের কোনো দায়িত্ব নেয় না। এরকম সমাজে একজন অলৌকিক ঈশ্বর একটা বড় দায়িত্ব পালন করেন বৈকি। এই ঈশ্বর ভদ্রপল্লীর ঈশ্বরের মতো নন। ইউরোপীয় এনলাইটেনমেন্ট দিয়ে এর জাজমেন্ট চলে না। প্লিজ, মানুষকে কাঁদতে দিন। খোলা মাঠে কাঁদুক আর মসজিদ, মন্দিরে কাঁদুক, শান্তিতে কাঁদতে দিন। আজ আপনি যদি কাউকে কাঁদতে দিতে না চান, কাল কেউ আপনাকে আনন্দ করতেও দিবেনা। এবং এটাই হচ্ছে। বিজ্ঞানমনস্ক হতে গিয়ে আমরা যেন নিষ্ঠুর আর ইনসেন্সিবল হয়ে যাচ্ছি। লেখক: চিকিৎসক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
