
প্রকাশিত: Mon, Apr 22, 2024 1:59 PM আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 5:01 AM
ভারতের ‘রুদ্রকরণ’ এখন হিট ভবিষ্যৎবক্তা!
কাজী এম. মুর্শেদ ; ভারতের ‘রুদ্রকরণ’ এখন হিট ভবিষ্যৎবক্তা। তিনি যা বলেন তাই নাকি মিলে যায়। তিনি বলেছিলেন ইমরান খান এতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও টিকতে পারবেন না। বলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০২৫ সালে দিল্লি হারাবেন এবং ২০২৪ সালের মার্চে সমস্যায় পরবেন। মুখ্যমন্ত্রী এখনো জেলেই আছেন। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আবার ক্ষমতায় আসবেন, আট বছর আগে তৈরি হওয়া দলের মুখ্যমন্ত্রী পাঁচবছর পার করে আবার আসছেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতা হারাবেন সামনে, এখনো সময় হয়নি। নরেন্দ্র মোদি আবার আসবেন।
তবে একটা বড় চমক দিয়েছেন, উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ ২০২৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন। মোদি আসলে ২০২৯ পর্যন্ত থাকার কথা, উনি দ্বিমত করলেন। ভারত পুরো কাশ্মীর নিয়ে নেবে এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে। মানুষ ভবিষ্যত দেখতে পারে না বলেই ভবিষ্যৎ জানতে চায়। অনেক মাধ্যম আছে, যেমন এ্যাসেট্রলজি যা জন্ম সময় ধরে গ্রহের অবস্থান বিচারে করা। ভারতবর্ষে একই কাজ করতো জন্মকুষ্ঠি তৈরি করে। করোর হাতের রেখা দেখাকে পামিস্ট্রি বলে, জন্ম ও নামের সংখ্যা থেকে বিচার করাকে নিউমারোলজি।
মাইকেল নস্ট্রাডমাসের ঘুম ভাঙ্গলে বিভিন্ন ঘটনা চোখের সামনে আসতো। তার প্রফেসি লিখতেন ক্রিপটিকভাবে কারন তখন ভবিষ্যৎবানীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়। ‘রুদ্রকরণ’ বলেন মন্দিরে গেলে তার উপর একটা শক্তি আসে। অনেকে প্লানচেটে মৃত আত্মার সাথে কথা বলে। ক্রিস্টাল বল দেখেও ভবিষ্যৎ বলে, টিয়াপাখি দেখেও বলে। পীর সাহেবদের ঝাড়ফুকেও বলে, আবার কেউ হিপনোটাইজ করেও বলে। মূল ব্যাপার একটাই মানুষ ভবিষ্যৎ জানতে চায়, তার শরীর, অর্থ, সংসার এসবই যেমন জানার ইচ্ছা তেমনি কতো বছর বাঁচবে জানতে চায়। জিন ডিকসন একসময় নাম করেছিলেন।
আমার নিজের কথা বলি। পাশের বাসায় আবুল কাশেম চাচা এই হাত দেখে বিভিন্ন জিনিস বলতেন। আমার বয়স তখন দশ, বেড়াতে আসলে কফি বানিয়ে দিতাম। উনি পামিস্ট্রি ও নিউমারোলজি দিয়ে বলতেন এরপর কোন পাথর পরতে হবে বলতেন। ওনার নাম দিয়েছিলাম আবুল কাশেম পাত্থুরি। আমার এইসব ব্যাপারে আগ্রহ কম বলে কখনো কিছু জানার ইচ্ছা হয়নি। তবে উনি কফি খেতেন বলে আমার ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। তিনটা বলেছিলেন, তার দুটো পুরোপুরি ঠিক হয়েছে, একটা সামান্যর জন্য কানের পাশ দিয়ে গেছে। সেটা ফললে আজ লিখার অবস্থায় থাকতাম না। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে উনার কথা ভেবেছিলাম। অবশ্য পরের বছর মারা যান, এজন্য কখনোই গুরুত্ব দিইনি।
মাইকেল নস্ট্রাডমাসের লেখা অনুবাদ করা হয়েছে। পরবর্তী মিলিয়ে দেখা গেছে কোনো না কোনো ঘটনার সাথে মিল ছিলো। তবে এ পর্যন্ত তিনটা বই কিনেছি, ঘটনা আলাদাভাবে ব্যাখ্যা হলেও কাছাকাছি অনেক কিছু ছিলো। আমি ছোট একটা জিনিস ব্যাখ্যা করতে এতো কথা বললাম। নস্ট্রাডমাসের একটা প্রফেসি ছিলো বর্তমান সময় নিয়ে, কোন একবিষয়ে বলেছিলেন এই অঞ্চলে মহাপরাক্রমশালী এক ক্ষমতাবান আসবেন, তবে বারো বছর পর মারা যাবে। ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর দিন গুনছি, বারো বছর হতে এখনো বাকি আছে। তবে ‘রুদ্রকরণের’ কথায় যে যোগী আদিত্যনাথের কথা বলেন, এরপর কোন কারণে ধারণা করছি, হয়তো মোদির হাতে আর দুই বছর আছে। এরপর সেই প্রফেসিং ঠিক হলে নতুন প্রধানমন্ত্রী আসতে হবে। সেটা ২০২৬ সালে হতে পারে, অথবা ২০২৭ সালে।
ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে তেমন মাথা ঘাটাই না, আমার হিসাবে অতীত নিয়ে কথা বলার কিছু নেই, বর্তমানের সাথে চলছি, ভবিষ্যৎ কি আছে সেটা আমরাই পারি বর্তমানে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করতে। তারপরও নস্ট্রাডমাসের কথায় ফিরি, উনি তৃতীয় বিশ্বযদ্ধের কথা বলেছেন। ওনার হিসাবে খুব সামনেই ঘটবে, এরপর পুরো আবহাওয়া বিষাক্ত হবে, অনেক লোক মারা যাবার পরও প্রায় ১৪ বা ১৮ বছর আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে, এরপর মেঘ কেটে সূর্য আসবে। উনি হয়তো বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পারমাণবিক হামলার শঙ্কা থেকেই বলেছেন।
তো ভারতের বা এলাকার ব্যাপারে যা বলেছেন, সেটা সত্য হলে তার সাথে ‘রুদ্রকরণের’ ভাষায় মোদির জন্য আরো দুইবছর অপেক্ষা করতে হবে, এরপর যোগী আদিত্যনাথকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখবেন। উত্তর প্রদেশে এরই মধ্যে শুনেছি অনেক কিছু করেছেন। উনি আসলে আসুক, ভারতের জন্য খারাপ হবে না। আবুল কাশেম পাত্থুরি আমার ব্যাপারে কি বলেছিলো, সেটা বলতে চাই না। ভদ্রলোক মারা গেছেন, আমি মিথ্যা বললেও ক্রসচেক করার অবস্থা এখন আর নেই। লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
