
প্রকাশিত: Sun, May 5, 2024 4:06 PM আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 12:50 AM
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিদায় ও রাশিয়ানদের প্রবেশ
এ আর খান আসাদ : খবরটি সপ্তাখানেকের পুরনো যে নাইজার থেকে মার্কিনসেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা দৌঁড়ঝাপ করেও নাইজার সরকারের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেনি। আমেরিকান সৈন্যরা ফিরে যাবে সম্ভবত জার্মানিতে, আমেরিকান ঘাঁটিতে। ইতোমধ্যে পাশের দেশ চাদ, মালি ও বুরকিনা ফাসো থেকে মার্কিন সেনাদের পত্রিকার ভাষায় ‘কিক আউট’ করা হয়েছে, মানে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। নাইজারেরর রাজধানী নিয়ামেতে সামরিক ঘাঁটি ১০১ এ এখন রাশিয়ান সৈন্যরা অবস্থান নিয়েছে, যা ছিলো আমেরিকান ঘাটি। রাশিয়ানদের ভাবমূর্তি হচ্ছে সাহায্যকারী, আমেরিকার মতো উপনিবেশিক শক্তি নয়।
আমেরিকার ঘাঁটি থাকার যুক্তি কী ছিলো? সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধ। আইসিস ও আলকাইদা সন্ত্রাসীদের ধরা ও মারা। এই সংবাদের দুটো দিক আছে। একটি হচ্ছে, আমেরিকার ‘গণতন্ত্রের অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণের’ বদলে তা সংকোচন হচ্ছে এবং আমেরিকার প্রত্যাশিত সামরিক সহায়তা পাওয়ার জন্য রাশিয়া তাঁর সৈন্য পাঠাতে প্রস্তত। মানে, ব্রিক্সের ফলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক পতন নয় শুধু, সামরিক অবস্থান থেকেও আক্ষরিক অর্থেই বিদায় নিতে হচ্ছে।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, দুনিয়াব্যাপী রাজনৈতিক ইসলাম, কিংবা ইসলামী জঙ্গিবাদের ভবিষ্যৎও নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে। মার্কিনের আর্থিক ও অস্ত্র সহায়তায় যে ইসলামী মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ গড়ে উঠেছিলো, রাশিয়াকে আফগানিস্থান থেকে হটানোর চিন্তা থেকে, এই ব্যাপারে কোনো মতভেদ নেই। মতভেদ থাকলেও মোটামুটি নিশ্চিত যে হামাস, আইএস, আলকায়েদা সহ অনেক সংগঠনই সহায়তা পেয়েছে সিআইএর।
যেমন কাতার থেকে স্যুটকেস বোঝাই ডলার গিয়েছে হামাসের কাছে। অর্থাৎ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইসলামী জঙ্গিবাদ উস্কে দেওয়ার জন্য যে কলকাঠি নাড়তে পারতো সেটি আর সম্ভব হবে না। এর ফলে ইসলামী জঙ্গিবাদী সংগঠন ফুলে ফেঁপে ওঠার জন্য যে সহায়তা দরকার সেটা থেকে বঞ্চিত হবে। এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পিছু হটা মানে, ইসলামী মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদেরও পিছু হটা। লেখক: গবেষক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
