
প্রকাশিত: Mon, May 6, 2024 1:12 PM আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 1:14 AM
শিক্ষকতা পেশাকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করতে হবে
ড. কামরুল হাসান মামুন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মের ১৩ বছর আগে চীনের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ঞংরহমযঁধ টহরাবৎংরঃু-র জন্ম। টাইমস এশিয়া ইউনিভার্সিটি রেঙ্কিং-এ এটি এখন এশিয়ার ১ নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়। আর ছঝ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেঙ্কিং-এ এর অবস্থান ২৫। এই বিশ্ববিদ্যালয় কয়েক ক্যাটাগরির শিক্ষক নিয়োগ দেয়। একটা হলো ঃড়ঢ়হড়ঃপয ফ্যাকাল্টি। এই ক্যাটেগরিতে দরখাস্ত করার কন্ডিশন হলো নোবেল জয়ী অথবা ফিল্ডস অ্যাওয়ার্ড জয়ী কিংবা আবেল প্রাইজ জয়ীদের রেফারেন্স লাগবে। তাদের বিভাগের চেয়ারের পদ দেওয়া হবে। এই ক্যাটাগরির অধ্যাপক একটি ফিল্ডে গবেষণা গ্রুপকে নেতৃত্ব দিতে পারতে হবে। সকল প্রকার সুবিধা দেওয়া হবে। এমন সুবিধা যেন নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তমনে গবেষণা ও অন্যান্য কাজে মনোনিবেশ করতে পারে। বাসা দেওয়া হবে।
তারপর আছে অউটস্টান্ডিং ফ্যাকাল্টি। এই ক্যাটেগরিতে দরখাস্ত করার কন্ডিশন হলো বিশ্বের খ্যাতিমান টপক্লাস বিশ্ববিদ্যালয় বা টপক্লাস রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে। সেইসব টপ প্রতিষ্ঠানে যেমন বেতন দেওয়া হতো তার সাথে সঙ্গতি রেখেই বেতন ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে। গবেষণার জন্য স্টার্ট আপ ফান্ড দেওয়া হবে। তারা যেন যথেষ্ট সংখ্যক পিএইচডি ও পোস্ট-ডক ফেলো পায় সেটা নিশ্চিত করে হবে। তারপর আছে ইয়ং ফ্যাকাল্টি নিয়োগ। বয়স ৪০ এর মধ্যে হতে হবে। বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিসহ শিক্ষকতা ও গবেষণার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পদ হবে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। কম্পিটিটিভ স্যালারি দেওয়া হবে। গবেষণার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা স্টার্টআপ হিসাবে দেওয়া হবে। প্রয়োজনমত পিএইচডি ছাত্র ও পোস্ট-ডক ফেলো দেওয়া হবে।
এইটা হলো চীনের ট্যালেন্ট হান্ট প্রজেক্ট। একটা দেশকে উন্নত করতে হলে সেই দেশের শিক্ষার মান বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষার মানকে উন্নত করতে হবে। উচ্চ শিক্ষার মানকে উন্নত করতে হলে অত্যন্ত মেধাবীদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে। তার জন্য শিক্ষকতা পেশাকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগের নামে ভোটার নিয়োগ দিলে হবে না। মেধাবীদের যথাযোগ্য মর্যাদা না দিলে হবে না। এজন্যই শিক্ষায় বরাদ্দ জিডিপির কমপক্ষে ৫.৫% করতে হবে। অথচ সরকার শিক্ষকতা পেশাকে দিনদিন দুর্বল করছে। ফলে মেধাবীরা বিদেশে চলে যাওয়ার ঢল নেমেছে। এদেশের সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ঠিক যখন দেশকে দেওয়ার সময় হয় তারা চলে যাচ্ছে। আসলে বলা উচিত চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এইভাবে চললে দেশে কখনো সত্যিকারের উন্নয়ন হবে না। লেখক: অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
