প্রকাশিত: Thu, May 9, 2024 1:38 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 8:48 PM

টাকা ছাপিয়ে আমাদের টাকাকে কাগজ বানানো হবে, আর উনারা ফুলেফেঁপে বিশাল বিত্তবান হবেন; কী মজা!

ড. কামরুল হাসান মামুন : পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি সরকারি একটি সংস্থা। এই সংস্থা ১৬ হাজার টাকার নাট-বল্টু এবং ওয়াশার কিনেছে ২ কোটি ৬৩ হাজার টাকা দিয়ে। চুরি ডাকাতির তো একটা সীমা পরিসীমা আছে। এইটাকে সমুদ্র চুরি বললেও অনেক কম বলা হবে। এই চুরি-চামারি করা এবং একইসাথে ক্ষমতার হেডম দেখানোর জন্যই মানুষ সরকারি চাকরি অথবা সরকারি দল করার জন্য এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। একই মাত্রায় চুরি হয় বিমানে। বিমানের এরকম ছোটখাটো যন্ত্রপাতি এইরকম দেড় হাজার গুণের বেশি দিয়ে কিনে। শুধু এরা না। বলা যায় বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি সংস্থা একই কাজ করে। কী সেটা বিমান কিংবা রেল অথবা অন্য কোনো সংস্থা। 

অন্যদিকে শুনছি আরেকটি ব্যংক চলে যাচ্ছে ব্যাংক খেকো এস আলমের হাতে। কী এমন আলাদিনের চেরাগ উনি পেলেন? কার হাতের ছোঁয়ায় এমন বিস্ময়কর উত্থান? গত ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার এ এস আলমস আলাদিনস ল্যাম্প (এস আলমের আলাদিনের চেরাগ) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা পাচার করে সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে এস আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি কমার্শিয়াল স্পেস (বাণিজ্যিক পরিসর) এবং অন্য যেসব সম্পদ কিনেছেন, সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তাঁর নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আর এইদিকে আমাদের সর্বোচ্চ আদালত বলে দিয়েছেন এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অনুসন্ধান চলবে না। এর আগে এই এস আলম ইসলামী ব্যাংক নাম আরেকটি ব্যাংককে খেয়ে দিয়েছে। এই দেশকে আসলে  জ্বীনে ভূতে ধরেছে। একদিকে দেশে এরকম আকাশ সমান দুর্নীতি হবে, সাগর মহাসাগর সমান পাচার হবে, টাকা ছাপিয়ে আমাদের টাকাকে কাগজ বানানো হবে আর উনারা ফুলে ফেঁপে বিশাল বিত্তবান হবেন। কী মজা! লেখক: অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়