প্রকাশিত: Thu, May 9, 2024 1:39 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 9:01 PM

দক্ষিণ এশিয়ার নিপীড়িত জাতিগুলো অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বড় কোনো কৌশলগত শিক্ষা আত্মস্থ করতে পারেনি

আলতাফ পারভেজ : ছোট ছোট নিপীড়িত জাতিগুলো যখন পাশাপাশি হাঁটতে শিখে না নিজেদের মিলের দিকের বদলে পার্থক্যটুকু বড় করে দেখে তখন সংখ্যা গুরু জাতিগুলো ভালোভাবেই তার সুযোগ নেয়। আরাকানে নতুন করে সেটাই হচ্ছে আবার। আরাকানে স্বাধীনতা হারানো আগে-পরে মুসলমান রোহিঙ্গা এবং বৌদ্ধ রাখাইনরা উভয়ে বামারদের জুলুমের মুখে ছিল এবং আছে। কখনও রোহিঙ্গারা, কখনও রাখাইনরা বামারদের হাতে মার খেয়েছে এবং খাচ্ছে। অথচ রোহিঙ্গাা ও রাখাইনরা  এককভাবে ‘আরাকানিজ’ হয়ে একসঙ্গে বামারদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারলো না আজও। সম্প্রতি আরাকান আর্মির প্রতিরোধ যুদ্ধে বামারদের পিছু হটার মাঝে একটা বড় অঘটন ঘটতে শুরু করেছে। কিছু সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের একাংশকে কাছে টানতে পেরেছে। রোহিঙ্গারাও নিরুপায় ছিল।

কোনোভাবেই আরাকান আর্মির সঙ্গে মৈত্রীর জায়গা বের করতে পারছিল না তারা। ফলে বিকল্প হিসেবে জান্তার আশ্বাসের ওপর ভরসা করে কয়েকশ তারা বামারদের সঙ্গে যুক্ত হয়। এর ফল হয়েছে বিধ্বংসী। যুদ্ধে এখন কেবল রোহিঙ্গা ও রাখাইনরাই মরছে। বামাররা দূর থেকে সে দৃশ্য উপভোগ করছে। গত কয়েকদিনের  যুদ্ধে অনেক রোহিঙ্গা মারা যাওয়ার সংবাদ আসছে মংডুর দিক থেকে। তবে এসব সংবাদ নিরপেক্ষ তৃতীয় সূত্র দ্বারা যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ কম।  তবে আপাতত এটুকু বলাই যায়, দক্ষিণ এশিয়ার নিপীড়িত জাতিগুলো অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বড় কোনো কৌশলগত শিক্ষা আত্মস্থ করতে পারেনি। তার প্রমাণ সাম্প্রতিক আরাকান। বামারদের হাতে আবারও যদি আরাকানে পতন হয় তাহলে রোহিঙ্গা ও রাখাইন কেউ ছাড় পাবে না এবং বলা বাহুল্য তার খারাপ ফল ভোগ করবে বহুকাল ধরে দর্শক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশও। স্যাড! ২-৫-২৪। ফেসবুক থেকে