প্রকাশিত: Sat, May 11, 2024 1:43 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 7:03 PM

ডোনাল্ড লুকে যে প্রশ্নগুলো করা যেতে পারে

আব্দুল হাই সঞ্জু  : ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিবেচনায় রেখে গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এরপর থেকে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার কথা বলে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পরও ভোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হতাশা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না করাটা হতাশাজনক। ডোনাল্ড লু ঢাকায় অবশ্যই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন। 

একটা প্রশ্ন অবশ্যই সাংবাদিকেরা করবেন। আর সেটি হলোÑ [১] যুক্তরাষ্ট্রই বলেছে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাহলে যাদের দোষে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ হয়েছে কিনা? [২] না হলে, কেন হয়নি? [৩] কয়জনের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ হয়েছে? [৪] এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ কয়জন, প্রশাসনের কয়জন, শিল্পপতি-ব্যবসায়ী কয়জন? [৫] আওয়ামী লীগের কয়জন, বিরোধী দলের কয়জন? [৬] যাদের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে, তা কতদিন কার্যকর থাকবে?  [৭] ভিসা নীতি প্রয়োগের ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়জন বাংলাদেশিকে ফিরে আসতে হয়েছে? [৮] ভিসা নীতি প্রয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে কেউ গেছেন কিনা? [৯] ভিসা নীতি বাংলাদেশের নির্বাচনে কতোটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে? স্টেট ডিপার্টমেন্টের মূল্যায়ন করেছে কিনা? সাংবাদিকদের মনে রাখতে হবে, সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির বিষয়ে ভিসানীতি প্রয়োগের তথ্য দেবেন না ডোনাল্ড লু। কিন্তু উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে বাধ্য তিনি। সাংবাদিকেরা ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন আইনের আওতায় ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টকে প্রশ্ন পাঠালেও উত্তর পাবেন। ৮ মে ২০২৪। লন্ডন। ফেসবুক থেকে