
প্রকাশিত: Sat, May 11, 2024 1:44 PM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 6:42 PM
পিতৃতান্ত্রিক হেজিমনি থেকে বেরিয়ে নৈর্ব্যক্তিকভাবে তথ্য দেখতে চেষ্টা করুন
ইমতিয়াজ মাহমুদ : ক্রিকেট মাঠে নারীবিদ্বেষীদের নোংরা কাণ্ড ঢাকার জন্য কী পরিমাণ লোকজন মাঠে নেমেছে দেখেছেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক, ক্রীড়া সাংবাদিক থেকে শুরু করে পাকিস্তানে বসত গাড়া বাঙালি সাংবাদিক পর্যন্ত কেউই বাদ নেই। সকলেরই একই ঝোল, না না না, সেরকম কিছু হয়নি, খেলোয়াড়রা তো কিছুই বলেনি, ক্লাবের কর্মকর্তারা যারা ছিলেন ওরা একটু আলাপ করেছে জেসিকে দেখে। জেসিকে আম্পায়ার হিসাবে চায়নি ওরা, জেসি সেটা নাকি নারী বলে নয়, ওর কিনা অভিজ্ঞতা কম ইত্যাদি। কথাগুলো ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন না ফেসবুকে? কেউ কেউ তো উল্টো আমাদের বকে দিচ্ছে, প্রকৃত ঘটনা না জেনে নাকি পোস্ট লিখছি।
দুই-চারজনকে আবার দেখলাম যারা প্রতিবাদ করেছে ওদের ধর্ম বিদ্বেষী বলে, সঙ্গে আরও আজেবাজে কথা বলে গালিও দিচ্ছেন। বটে। এইগুলো দেখে আপনি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছবেন? পিতৃতন্ত্র ওদের হাড্ডিতে, মজ্জায়, শিরায় শিরায় প্রবাহিত। পিতৃতন্ত্র ওদের মস্তিষ্কের দখল নিয়েছে হাজার বছর আগেই, সেই মস্তিষ্কে আর কী বের হবে? এই যে তারা ক্রিকেট মাঠের মিসোজিনি কাভার করার চেষ্টায় এতো সৃজনশীলতা দেখাচ্ছেন সেটাতে ওদের প্রতিভার পরিচয় তো স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়, সেইসাথে আবার মেল শভিনিজমের দুর্গন্ধও নির্গত হয় তীব্রভাবে। মিসোজিনির পক্ষে এসব লোকজনের এরকম লাফালাফি কী নতুন? না মোটেই না। এটা ওদের পুরনো প্রবণতা।
খবর যেগুলো প্রকাশিত হচ্ছে সেগুলি ঠিকমতো পাঠ করে দেখুন। আম্পারস কমিটির বক্তব্য পড়ুন, ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের বক্তব্য দেখুন। পিতৃতান্ত্রিক হেজিমনি থেকে বেরিয়ে নৈর্ব্যক্তিকভাবে তথ্য দেখতে চেষ্টা করুন। কুৎসিত নারীবিদ্বেষ ঠিকই স্পষ্ট চোখে পড়বে। তথাপি এরা সেটা আড়াল করতে চাইবে। এই নারীবিদ্বেষীরা কিনা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং এরা পাশে পায় ধর্মীয় সংখ্যাগুরুদের। ওদের সকলের শিকড় এক জায়গায়। শিক্ষা, সভ্যতা, গণতান্ত্রিক চেতনা কোনো কিছুই ওদের নারীর অধিকার অনুধাবন শেখায় না। নারীর সমতার লড়াইটা এজন্যেই এতো কঠিন। লেখক: আইনজীবী। ২৮.৪.২৪। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
