শেখ আদনান ফাহাদ : আমার এক প্রিয় স্যারের  সাথে একবার সাংবাদিকতা, সাংবাদিকের ক্যারিয়ার, বাংলাদেশ প্রেক্ষিত নিয়ে আলাপ হচ্ছিল। স্যার সাংবাদিকতা পেশার ইতিবাচক দিকগুলোর উপর খুব জোর দিচ্ছিলেন। আমি তখন ছাত্র হলেও পেশাদার সাংবাদিক। একবার বললাম স্যার, সাংবাদিকের কাছে বাবা-মায়েরা সহজে মেয়ে বিয়ে দিতে চায়না। আমার যেহেতু কথার কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই, তাই বলে ফেলতে পেরেছিলাম। স্যার বললেন, কেন সাংবাদিকরা কি বিয়ে করছে না? আমি বললাম, করছে স্যার, কিন্তু এটা বাস্তবতা যে মেয়ে দিতে চায় না বাবা-মায়েরা। বাবা-মা চান তার মেয়ের জামাই হবে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, আর্মি অফিসার, ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি  থাকবে ইত্যাদি। এরপরেও স্যার যখন সাংবাদিকতা পেশার পক্ষেই কথা বলে যাচ্ছিলেন, আমি একটা কঠিন প্রশ্ন করে ফেললাম। আমি বললাম, স্যার আপনি কি আপনার মেয়ের বিয়ে সাংবাদিকের সাথে দিবেন? স্যার স্বাভাবিকভাবেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন। 

আজ কেন জানি আমার সাংবাদিকতা জীবনের কথা বেশি মনে হচ্ছে। আমার লেখা, কথার মধ্যে যদি কোনো ক্ষিপ্রতা থাকে তাহলে সেটা সাংবাদিকতা থেকে পাওয়া। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে রিপোর্টিং থেকে পাওয়া। সাংবাদিকতা ছিল আমার ভালোবাসা। মানুষ প্রেম-ভালোবাসার মায়ায় অনেককিছু করে ফেলে। আর একজন সাংবাদিক অন্য পেশায় যেতে পারবে না, আমি এটা মনে করি না। যোগ্যতা এবং সুযোগ থাকলে অবশ্যই একজন সাংবাদিক অন্য পেশায় যাবে। তবে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা একজন মানুষকে শাণিত করে, তাকে ক্ষিপ্র করে তোলে। শরীরে এবং মনে একটা স্পিড এনে দেয়। আমি আমার সাংবাদিকতা জীবনের প্রতি ঋণী। ফেসবুক থেকে