ফরহাদ হোসেন

মেট্রোরেল নিয়ে সবাই নিজ নিজ অনুভূতি প্রকাশ করছে। লোভ সামলাতে না পেরে আমার দেড় হালি অনুভূতি বন্ধুদের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করলাম। অনুভূতি নম্বর [১] তিন দশকের বেশি সময় (৩৩ বছর) ঢাকায় বসবাসের কারণে, এই শহরের বহু উন্নয়ন কাজ দেখার সুযোগ হয়েছে। মেট্রোরেল তেমনি একটি। আমাদের বহু আগে কলকাতায় মেট্রোরেল চলে। 

অনুভূতি নম্বর [২] উদ্বোধনের দিন মেট্রোরেল লাইন এলাকার লোকজন ছাদে কাপড় শুকাতে পারবে না, এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবে না, ব্যাংকে লেনদেন করতে পারবে না, ভাগ্য ভালো বাথরুমে না যাওয়ার কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি। অনুভূতি নম্বর [৩] ছোট বেলায় দেখতাম প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করে চালু হতো। এখন দেখছি, কাজ বাকি রেখেই উদ্বোধন হয়। স্বপ্নের মেট্রোরেল তেমনি আরেকটি প্রকল্প। স্বপ্নে দেখতাম, উত্তরা থেকে মতিঝিল গিয়ে নামছি, কিন্তু স্বপ্ন আটকে যাচ্ছে আগারগাঁও এ। 

অনুভূতি নম্বর [৪] শুনছি উন্নত শহরগুলোতে রাতদিন মেট্রোরেল চলে। 

আমাদের এখানে নাকি, আপাততো সকাল ৮ থেকে ১২ টা পর্যন্ত চলবে। এই আপাততো কবে পুরোততো হবে জানি না। অনুভূতি নম্বর [৫] ডিজিটাল যুগ, পোলাপাইনের হাতে হাতে স্মার্টফোন। প্রথমবার মেট্রোরেলে চড়ে বিএফ, জিএফরা সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বেরসিক মোবাইল অপারেটররা নাকি নিশ্চিত করতে পারছে না, মেট্রোতে ভ্রমণের সময় নেটওয়ার্ক থাকবে কি, থাকবে না। অনুভূতি নম্বর [৬] মেট্রোতে চড়তে স্থায়ী কার্ডের জন্য নাকি নিবন্ধন করতে হবে। বাচ্চার জন্মনিবন্ধন করতে যে হেপা দেখেছি, এখানেও তেমন হবে নাতো? আমরা তো নগদ টাকায় আগে ভাড়া দিয়ে মেট্রোতে চড়বো, 

তাইলে রেজিস্ট্রেশন লাগবে কেন? নাকি বাকিতে চড়ার সুযোগ থাকছে। পরে আদায় করার সুবিধার জন্য চৌদ্দগুষ্টির নাম ঠিকানা রাখছে, যাতে টাকা মাইর না যায়? নাকি জঙ্গি-ঠঙ্গি জাতীয় কোনো ইস্যু আছে? ফেসবুক থেকে