প্রকাশিত: Thu, Dec 29, 2022 4:10 AM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 1:05 AM

‘বেশ্যা’ এবং ব্যবসা

খালিদ খলিল

‘বেশ্যা’ শব্দটি এসেছে ‘বৈশ্য’ শব্দ থেকে। বর্ণপ্রথার কালে হিন্দু ব্যবসায়ী শ্রেণিকে বলা হতো বৈশ্য। সেখান থেকে বিকোনো অর্থে এসেছে বাংলা বেশ্যা শব্দটি। কালের পরিক্রমায় শব্দটির একক-একমুখী অর্থ নির্মিত হয়েছে। শরীর বিক্রি করা মেয়েদের উপাধি হয়েছে ‘বেশ্যা’ শব্দটি। আর এখন শুধু শরীর বিকোলেই না, স্বামীর সঙ্গে তর্ক কিংবা একটু এদিক সেদিক করলেও ‘বেশ্যা’ বলার চল আছে। ‘বেশ্যা’ একটি স্ত্রীবাচক শব্দ এবং এর কোনো পুরুষবাচক সমার্থক শব্দ নেই। তার মানে কি এই যে, শরীরী শুদ্ধতা শুধু নারীদের বিষয়? পুরুষের শরীর শুদ্ধ হতে হয় না? পুরুষের শরীর বিক্রয়যোগ্য কোনো পণ্য হতে পারে না? 

নারীর ক্ষেত্রে কেন এর একক অবস্থান? আবার নারীকেই এর ভিক্টিম হতে হয়। আমরা কতটা অসভ্য যে কিছু বিশ্রী স্ত্রী-বাচক শব্দকে এখনও লালন করছি, যেগুলোর কোনো পুরুষ-বাচক শব্দ নেই। যেমন: ‘গণিকা, বেশ্যা, রক্ষিতা, পতিতা’ ইত্যাদি। এইসব শব্দের পুরুষ বাচক শব্দ আবিষ্কার করতে হবে নতুবা সেগুলোকে শব্দ ভান্ডার থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ এসব শব্দের দ্বারা প্রতিনিয়ত মেয়েরা মানসিক ধর্ষণ এবং ভায়োলেন্স এর স্বীকার হচ্ছে। যা ভিক্টিম ঠিক অনুরুপে ফিরিয়ে দিতে পারেনা। এই শব্দের অনুপযুক্ত ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ থাকা জরুরী।