প্রকাশিত: Sun, Jun 2, 2024 3:29 PM
আপডেট: Tue, May 6, 2025 7:38 PM

সব আনন্দ সবার ভাগ্যে জোটে না!

সুমন্ত আসলাম

বেনজীর আহমেদের মতো ৬২১ বিঘা না, আমার যদি মাত্র ১ বিঘা জমি থাকত। [১] খুব ভালো বাঁশ দিতে পারে না সিরাজগঞ্জের মানুষ, তবে প্রচুর বাঁশের আবাদ হয় ওখানে। সবচেয়ে বেশি হয় রহমতগঞ্জ গ্রামে, আমার আদি নিবাস সেই রহমতগঞ্জে। বাঁশের দাপট আর আধিপত্যে আমাদের বাড়িতে শুধু দুটো ফলের গাছে দেখেছি আমি ১টা জাম্বুরা গাছ, আরেকটা কাঁঠাল গাছ। আর কোনো গাছ ছিল না বাড়িতে, শুধু বাঁশ আর বাঁশ। সম্ভবত এতো বাঁশ দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে জীবনে কাউকে কোনো বাঁশ দিইনি, দিতে ইচ্ছে করেনি। 

[২] ঢাকায় একটা জমি হলো আমার, মাত্র ৩ কাঠা। এর জন্য দুজন মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ লেখক প্রণব ভট্ট ও প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম। ধূ ধূ বালুর মধ্যে আমার ইচ্ছে হলো অন্তত ১০টা ফলের গাছ লাগাবো আমি। সাভারে গেলাম গাছ কিনতে। পরিচয় হলো আমার বয়সী এক যুবকের সাথে, যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, আমার বইও পড়ে (আচানক কথা)। বেশ কয়টা গাছ দেওয়ার পর সে বলল, ভাইয়া, এই আম গাছটা নতুন এসেছে, আমটার নাম আলফানসো, সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে দামী আম। দুরু দুরু বুকে জিজ্ঞেস করলাম, দাম কত? ৮০০ টাকা, আপনার কাছে রাখব ৫০০ টাকা। ৩ কাঠা জমিতে আমি গাছ লাগিয়েছিলাম অনেকগুলো, বেশ সমৃদ্ধ ১টা লাইব্রেরীও করেছিলাম। 

[৩] আলফানসো আম গাছটা এখনো আছে, গতবার আম পেড়েছিলাম ২৯১টা, এবার পেড়েছি ৪২টা। গাছে আরো গোটা বিশেক আছে। আমার প্রশ এবার আম এতো কম কেন? [৪] অল্প কিছু ইচ্ছে নিয়ে সম্ভবত জন্মাই আমরা অনেকে মাত্র ১ বিঘা জমি হবে আমার বা আমাদের, তার চারপাশে অনেকগুলো আমগাছ ও অন্যান্য ফল গাছ, মাঝখানে বিশাল একটা  লাইব্রেরী। পাঠক বই পড়বেন, লেখকরা বাসায় লিখতে লিখতে বিশ্রাম নেবেন এখানে এসে। মৌসুমি ফলে ঠোঁট ভিজে উঠবে সবার কী আনন্দ, কী আনন্দ। মুশকিল হলো সব আনন্দ সবার ভাগ্যে জোটে না। ৩১-৫-২৪। ফেসবুক থেকে