
প্রকাশিত: Tue, Jun 11, 2024 3:03 PM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 5:41 AM
মানুষ নিজেকে প্রকৃতি, জড়, জীব ও সকল প্রাণের অভিভাবক হিসাবে দেখতে চাইতেছে
ব্রাত্য রাইসু
অনেক মানুষই তাদের অর্জিত নৈতিক অবস্থান থিকা প্রাণিমাংস ভক্ষণ করতে চায় না এবং তাদের অনেকেরই চাহিদা অন্য মানুষেরাও প্রাণিমাংস ভক্ষণ না করুক। এইটা ভুল নৈতিকতা বা ভুল বোঝা নৈতিকতার অবদান। প্রাণি হিসাবে নিজেদের উপরের দিকে দাবির কুফল এইটা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ তার নৈতিকতাকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ঘুলাইয়া ফেলে। তার বুদ্ধি তাকে প্রাণিজগতে শ্রেষ্ঠত্বের আসন দিছে ধইরা নেয় সে। কাজেই সে আরো নৈতিক (বা বুদ্ধিমান) হইতে গিয়া শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে এমন অনেক কিছুই না-করা শুরু করে যা জন্তু কিংবা পশুরা এমনি এমনি করে। খাদ্য উৎপাদনের এই রমরমার আমলে আইসা মেইনলি শিকারী বা মাংসভোজী পশুদের সঙ্গে পার্থক্য রচনাই মানুষের বুদ্ধিমান নৈতিকতার বড় আকাক্সক্ষা হইয়া দাঁড়াইছে। সে এখন ধীরে ধীরে মাংস খাওয়া বাদ দিতে চায়। যেন সে আরো ভাল মানুষ হইয়া উঠতে পারে।
এখন, মানে আরো বহুদিন আগে থিকাই আর কি, মানুষ নিজেকে প্রকৃতি, জড়, জীব ও সকল প্রাণের অভিভাবক হিসাবে দেখতে চাইতেছে। কিন্তু দার্শনিক জায়গা থিকা এই অভিভাবকগিরি তার অধিকারের মধ্যে পড়ে না। অন্য পশু যা অর্জন করতে আগ্রহী না মানুষের সেই আবিষ্কার বা অর্জনরে কী কারণে আপনি পশুদের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন দিবেন? বরং অন্য সব জড়, জীব, প্রাণের মতো মানুষও প্রকৃতির অংশ এবং জীব হিসাবে সে খাদ্যচক্রের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান করে। এইটাই তার প্রাকৃতিকতা। খাদ্যচক্রের যে জায়গায় সে আছে সে অনুসারে তার খাদ্য তার নিজেরই জোগাইতে হয়, ও তার প্রাণ নিজেরই বাঁচাইতে হয় এবং খাদ্যচক্রে যেসব প্রাণি তার নিচে অবস্থান করে তাদের সে খায়। যন্ত্রকৌশলের কারণে খাদ্যচক্রের উপরে অবস্থান করা প্রাণিও সে শিকার করে, কিন্তু দেখেন সচরাচর খায় না। তবে এই না-খাওয়াটা সে সম্ভবত খাদ্যচক্রের প্রাকৃতিকতা মানতে গিয়াই না খায়। ২৯/৯/২০২২ যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/নৎধঃুধৎধরং
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
