প্রকাশিত: Mon, Jul 1, 2024 3:20 PM
আপডেট: Tue, Sep 17, 2024 8:45 PM

মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

নাসরিন সুলতানা : বিটিভিতে হুমায়ূন আহমেদের, ‘অয়োময়’ নাটক যখন প্রচারিত হয় তখন আমি হাইস্কুলে পড়ি। মনে হয় ক্লাস সেভেন বা এইটে তখন। আবুল খায়েরের একটা রোল ছিল। তিনি প্রতিদিন রাতে বাচ্চাদের ঘুমানোর আগে সারাদিনের পাপ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে ঘুমাতে বলতেন। কিছুদিন পর তিনি নতুন এক কিশোরীর দায়িত্ব নেন। তাকে ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে বলেন। কিশোরী তখন মাথাটা উঁচু করে বলেন, ‘আমি কোনো পাপ করি নাই।’ আব্বা আমাকে এই ডায়ালগের মর্মার্থ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আমার আফসোস যে আজ আব্বা বেঁচে নেই। আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি আড্ডার মানুষ হতে পারতেন তিনি। আব্বা যে কতো জ্ঞানী ছিলেন এখন বুঝি। 

কালবেলায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আলোচিত ড. মতিউর রহমান প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন। ঘুষ-দুর্নীতির বিপক্ষে কথা বলতেন। ধর্মীয় জ্ঞান বিতরণ করতেন। সেই সাথে তার নিজের বক্তব্যে আমরা দেখেছি তিনি কতো চমৎকারভাবে তার সম্পদকে আল্লাহ দিয়েছেন বলে চালিয়ে দিয়েছেন। অসৎ পথে যা উপার্জন সব আল্লাহ দেন, আর রিক্সা চালিয়ে যারা রোজগার করে তাদের টাকা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আসে। দুইটাই উপার্জন। কিন্তু একজনের কথায় নিজের উপার্জন নিয়ে আত্মবিশ্বাস আছে, আর অপরজন জানে তার উপার্জনে তার শ্রম বা ঘাম নেই, তাই সব দোষ আল্লাহর। আল্লাহ তাকে অসৎ হতে সাহায্য করেছে। নিজের প্রভুর সাথে এর চেয়ে বিশ্বাসঘাতকতা আর কি হতে পারে? ২৮-৬-২৪। ফেসবুক থেকে