প্রকাশিত: Sun, Jan 1, 2023 4:09 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 9:52 PM

‘একটু খুশি করলে খুশি হবো’

এ বি এম কামরুল হাসান 

অভ্যন্তরীণ উড়াল পথের যাত্রী আমি। গন্তব্য  চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা। জীবনে অসংখ্যবার দেশের মধ্যে ঢাকা-যশোর ঢাকা যাতায়াত করেছি। কিন্তু যশোর ছাড়া অন্য কোনো গন্তব্যে এটাই প্রথম। চেক ইন করে  স্ক্যানারে ব্যাগ দেওয়া মাত্রই কর্তব্যরত আনসার বললেন, ‘একটু খুশি করলে খুশি হবো’। ভুল শুনলাম নাকি? আবার জিগালাম। একই কথার পুনরাবৃত্তি। জিজ্ঞেস করলাম, আপনি আমাকে কী ধরনের খুশি করেছেন যে, আপনাকে খুশি করতে হবে? উত্তর নেই। বললাম,  একযুগের বেশি সময় ধরে আমি প্রবাসী। জীবনে অনেক গন্তব্যে দেশে বিদেশে উড়াল পথে ভ্রমণ করেছি। দেশ-বিদেশের কোনো বিমান বন্দরে এ ধরনের ভিক্ষাবৃত্তির শিকার এই প্রথম। তাও আবার সরকারি চাকুরে কর্তৃক। 

এর মধ্যে তার থেকে একটু উচ্চ পদস্থ (মনে হলো) এসে বললেন, স্যারের কাছে মাফ চাও। চাইলো। উচ্চ পদস্থ ভদ্রলোকটি অনুরোধ করলেন, আমি যেন ব্যাপারটা চেপে যাই। নতুবা তার (তার শব্দটি ‘তাঁর’ লেখা উচিত ছিল, কিন্তু রুচিতে বাঁধছে)  চাকরি যাবে। তার মানে, তিনি তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এভাবে চললে দেশের বিমানবন্দরসমূহ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হবে কীভাবে? বন্ধ তো হওয়া উচিত। কথায় বলে, গৃহস্তের শৌচাগার দেখলে যেমন বাড়ির লোকের মন মানসিকতা বোঝা যায়, তেমনি একটি দেশের বিমানবন্দর দেখলেই নাকি দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির অনুমান পাওয়া যায়। বিমানবন্দর নাকি দেশের আয়না। এ আয়না পরিষ্কার করার দায়িত্বটা আসলে কার?