রবিউল আলম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিদিন আবিষ্কার করতে হয়। আবিষ্কারের শেষ কোথায়, আমি জানি না। তার রাজনৈতিক, সামাজিক, দেশ ও জাতির উন্নয়ন পরিকল্পনা, এই দেশের বুদ্ধিজীবীদের মহাপরিকল্পনাকে হার মানিয়েছে। তিনি দয়ার সাগর, দায়িত্বে কঠোর, তিনি নীলকণ্ঠী, শামীম ওসমান-আইভি রহমানকে একই বুকে ধারণ করতে পারেন। আমেরিকা-রাশিয়া, চীন-ভারত, সৌদি-ইরান, বৃটেন-জার্মানদের মতো দেশগুলোকে বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুভব করিয়েছেন। রাজনীতির জন্য জোট-মহাজোট একই ঠিকানায়। আপন ঘরের আদর্শের অভিমান ভাঙানো, সংশোধনের জন্য, কতো রূপ ধারণ করেছেন শেখ হাসিনা। 

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকী, মেয়র জাহাঙ্গীর, বদির, আমানুর রহমান থেকে ক্যাসিনোকে সংশোধন করতে হয়েছে। সিদ্দিকী পরিবার আমার আদর্শিক একটি জায়গা। নীতির সাথে আমি ছিলাম একাকার। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে জ্বলে ওঠা এক অগ্নিশিখার জন্য। স্বার্থ না অর্থ, নাকি রাজনৈতিক মোহে  জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছিলেন এই বীর? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময় নয়। মেয়র জাহাঙ্গীর, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী মুখের দোষের কথা বুঝতে পেরেছেন। আমানুর রহমান, বদিররা দলেই আছেন। জোট মহাজোট রাজনীতির জন্য, ভোটের জন্য নয়। রনিদের  ক্ষণিকের রাজনীতির স্থায়িত্ব নাই। ক্ষণিকের চমক, রঙধনুর মতো ক্ষণস্থায়ী। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীদের মানবসেবার শেষ নাই। যারা মানুষের জন্য, দেশ ও জাতির জন্য ভাবে। সত্যের সন্ধানে  তারেকের  রাজনীতি অপছন্দ করে।

মান্নাদের কান্না আমরা অনেক শুনেছি। ক্ষমতার মোহে, অর্থের চাহিদা পূরণে, পদ-পদবির দ্বন্দ্বে একসময় ফুস। বাকশাল আওয়ামী লীগের ঐক্য শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার প্রমাণ বহন করে। বাংলার মেহনতী মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষা পেয়েছে, মুজিবহত্যা ও ঘাতক দালালদের বিচার হয়েছে। দল বিরোধী  কর্মকাণ্ডের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে, আদর্শ বিরোধীদের জন্য নয়। শেখ হাসিনার এই মহানুভবতাকে অপকর্মের হাতিয়ার করবেন না। চোরে, ধর্মের কাহিনি শুনেন না, কিছু চোরকে আলেম বানিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ভালো হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন, অপরাজনীতি থেকে মুক্ত করেছেন। বিএনপি-জামায়াত, মৌলবাদীদের রাজনীতি প্রতিরোধ করা শিখিয়েছেন। দলছুট, আদর্শচ্যুত রনি, মান্না, রবরা ফুলের ভোমর, মধু ফুরালে ফুস, বুঝতে পেরেছেন।

ওরা একমুখে কতো কথা বলতে পারে, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। খলকে বিশ্বাস করিওনা,আদর্শলিপির স্বরলিপি ভুলে রাজনীতি করা যায় না। আদর্শের ঐক্য, অভিজ্ঞ-তারুণ্যের সংমিশ্রণের আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন এখন সময়ের দাবি। অপশক্তি মুক্ত করতে হবে শেখের বেটীকেই। লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি