সালেহ্ বিপ্লব, আয়াছ রনি: কক্সবাজারে বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৪ সালে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি আজ সেই নির্বাচনে আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভা এক পর্যায়ে মহাসমাবেশে রূপ নেয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। সমাবেশের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ১৯৬৩.৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা ২০১৮ সালে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন, আমরা আপনাদের এই কক্সবাজারের উন্নয়ন করেছি। পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি, ধারাবাহিকভাবে সেই ২০০৯ সাল থেকে এই ২০২২ পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বলবৎ আছে বলেই আজকে উন্নয়ন হচ্ছে এবং বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

‘আপনারা কি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন’, প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে জনতা চিৎকার করে দুই হাত তুলে তাতে সম্মতি দেয়।

তিনি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কবির সঙ্গে কন্ঠ মিলিয়ে বলেন, রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই/ আছে শুধু ভালবাসা দিয়ে গেলাম তাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার লক্ষ্য অনুসরণ করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো আমার একমাত্র কাজ। কাজেই আমি বাবা-মা, ভাইসহ স্বজনদের হারিয়ে আপনাদের মাঝেই ফিরে পেতে চাই আমার হারানো বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ, বোনের স্নেহ। আমি আপনাদেরকেই আমার আপনজন বলে মনে করি। এই বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ করাই আমার একমাত্র কাজ। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড  তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি কিন্তু এই বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-বিএনপি এদেশের মানুষকে কী দিয়েছে?  অগ্নিসন্ত্রাস, খুন, মানি লন্ডারিং এগুলো দিয়েছে। দেশের মানুষ আর কখনোই অগ্নিসন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। নির্বাচনে জিততে পারবে না জেনে বিএনপি-জামায়াত গং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব